সৌদি আরবে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরানোর বিষয়টি ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে তুলেছে সৌদি আরব। তবে বাংলাদেশ এ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে শেষ হয় দুদিনের যৌথ কমিশনের এ বৈঠক। আর বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ।
সৌদি সরকার বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। এ সময়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি আলোচনায় তোলার পর সম্প্রতি বাংলাদেশকে একাধিক চিঠি দিয়ে সমাধান করতে বলেছে সৌদি আরব। বিষয়টি সম্প্রতি আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সম্মেলনের আলোচনাতেও এসেছে। ঢাকায় গতকাল বুধবার থেকে অনুষ্ঠেয় দুই দেশের যৌথ কমিশনের বৈঠকে সৌদি আরব প্রসঙ্গটি তুলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
গতকাল বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশ থেকে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ফেরেননি। তিনি বলেন, ‘কোনো রোহিঙ্গার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব যাওয়া বা ফেরার বিষয়টি আমাদের জানা নেই।’
সৌদি আরব ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরানোর বিষয়টি আজকের আলোচনায় তুলেছিল কি না জানতে চাইলে সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতা ও সে দেশের শ্রম ও সমাজ উন্নয়নবিষয়ক উপমন্ত্রী মাহির আবদুর রহমান গাসিন বলেন, ‘বিষয়টি স্পর্শকাতর। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা সেখানে গিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। আমরা নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে অপরাধ প্রবণতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিষয়টি সৌদি আরব তুলেছিল। আমরা বিষয়টি শুনেছি এবং এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হবে।’
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে যেসব রোহিঙ্গা সৌদি আরবে অবৈধ পন্থায় গেছে, তাদের বিষয়টি সুরাহার জন্য সে দেশে একটি বিশেষ কমিটি আছে। আজকের যৌথ কমিশনের আলোচনায় সৌদি আরবের ওই কমিটিকে সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।