২০ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের চতুর্থ তলার পেছনের কনফারেন্স রুমে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ‘গোপন মিটিং’ সম্পর্কে বিএনপির অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলেছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে ভবিষ্যতে সতর্ক হতে বলেছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের চতুর্থ তলার পেছনের কনফারেন্স রুমে এক গোপন মিটিং হয়। এতে সরকারের প্রশাসন ও পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে টানা আড়াই ঘণ্টা এই বৈঠক চলে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
বিএনপির দাবি অনুযায়ী ওই বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীনও ছিলেন। বিএনপির এই অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ সন্ধ্যায় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, এটা মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ। তিনি এসব কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে ভবিষ্যতে সতর্ক হতে বলেছেন।
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগের বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘তাদের অভিযোগ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আপনারা জানেন, আপনারা এখানে থাকেন। আমি এখানে (ইসি ভবন) আটটা–নয়টা পর্যন্ত থাকি। সংবাদ সম্মেলনে যে কথা বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ মিথ্যা একটা অভিযোগ আনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিব প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশন একটি ইনডিপেনডেন্ট বডি। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বাইরে ইসি সচিবে কোনো সত্তা নেই। সেই জন্য বলছি, বিএনপির বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা যাতে আর না করা হয়, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলব। বিতর্কিত করতে এবং অহেতুক চাপ সৃষ্টির জন্য, হেয় করার জন্য এসব করা হচ্ছে।’
বিএনপিকে সতর্ক করতে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমি আগামীকাল বিষয়টি কমিশন বৈঠকে তুলব, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে।’
বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিসার্স ক্লাবে বৈঠকের অভিযোগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হকও আছেন। বিএনপির এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অফিসার্স ক্লাবে অফিসাররাই তো যাবেন। আগেও গেছেন, ভবিষ্যতেও যাবেন। এটাকে ভিন্ন খাতে নেওয়া দুঃখজনক।’
এ ব্যাপারে আরও কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেছেন, অফিসার্স ক্লাবে সরকারি কর্মকর্তারা নিয়মিতই যান।