সব তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকে শিক্ষানবিশ পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
অর্থসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রাখা হয়েছে। আর এ বিষয়ে মতামত দিতে চারজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে মনোনীত করেছেন আদালত। চার অ্যামিকাস কিউরি হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী।
গত ২০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক কোম্পানির এন্ট্রি লেভেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি’ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। এটি সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি আরেকটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই দুটি সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতে বিনিয়োগকারী ফরহাদ বিন হোসাইন ৩ ফেব্রুয়ারি ওই রিট করেন। আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাছুম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহি ও নাহিয়ান ইবনে সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন সার্কুলারের ফলে তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যয় বাড়বে। ফলে বিনিয়োগকারীরা আশানুরূপ মুনাফা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা করছেন রিট আবেদনকারী। আইনের যে ধারামতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই সার্কুলার ইস্যু করেছে, সেই ধারায় বেতন কাঠামোয় হস্তক্ষেপ করার সুযোগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেই—এমন যুক্তিতে রিটটি করা হয়। হাইকোর্ট সব তফসিলে বাণিজ্যিক ব্যাংকে প্রবেশ পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি নির্ধারণসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গত ২০ জানুয়ারি ও পরে ১ ফেব্রুয়ারি সংশোধন করে দেওয়া সার্কুলার কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন।’