‘পেঁয়াজ কাটার সময় নাক দিয়ে নিশ্বাস নিলে চোখে পানি আসে, কিন্তু গাল দিলে নিলে চোখে পানি আসে না কেন?, ‘শূন্য আবিষ্কারের আগে দুটি একই সংখ্যা বিয়োগ কীভাবে করা হতো?’, ‘সংখ্যা আবিষ্কারের আগে মানুষ গণনা কীভাবে করত?’-গণিত ও বিজ্ঞানের এমন সব মজার, কৌতূহলী এবং বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন আর অতিথিদের উত্তরের মধ্য দিয়ে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ‘ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব-২০১৯’-এর বাগেরহাট আঞ্চলিক পর্ব।
গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত এ উৎসবে বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ এবং পিরোজপুর জেলা থেকে নির্বাচিত অলিম্পিয়াডে বিজয়ী ৬৭২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে উৎসব শুরুর আগে থেকেই বাগেরহাটের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজে রূপ নেয় খুদে গণিতবিদদের মিলনমেলায়।
সকাল সোয়া নয়টায় জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলাম। এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খোন্দকার আসিফ উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আসিফ ইকবাল এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বাগেরহাট শাখার উপব্যবস্থাপক মো. ফয়জুল্লাহ। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে গণিত পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর গণিত উৎসবের গান দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। এরপরই শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। পরে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ এবং বিভিন্ন উপহারসামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।