টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিয়ের পাঁচ বছর পর পুলিশ দিয়ে ধরে এনে বিয়ের নিবন্ধন (কাবিন বা নিকাহ রেজিস্ট্রেশন) করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে সখীপুর পৌরসভার নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি অফিস) কার্যালয়ে এ কাবিন করা হয়।
নতুন রেজিস্ট্রি করা বরের নাম আরিফুল ইসলাম (৩০)। পেশায় তিনি অটোরিকশাচালক। তিনি সখীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিকদার রোড এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। কনের নাম রুবি আক্তার (২৫)। তিনি একই ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রিপাড়ার মৃত হাছেন আলীর মেয়ে।
রুবি বলেন, আনুমানিক পাঁচ বছর আগে প্রেম করে তাঁদের বিয়ে হয়। একজন মৌলভি ধর্মীয়ভাবে তাঁদের বিয়ে পড়ালেও ওই সময় রাষ্ট্রীয় নীতিতে রেজিস্ট্রি (কাবিন) হয়নি। এভাবেই তাঁদের সংসার চলতে থাকে। সংসারে দুই বছরের একটি মেয়ে আছে। মাঝেমধ্যেই তাঁর স্বামী তাঁকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন ও মারধর করেন। ঝগড়া বাধলে এই বলে হুমকি দেন যে, বিয়ের কাবিন নেই। তাই তালাক দিলেও কোনো মামলা হবে না। কারণ মামলা করলে কাবিন লাগবে।
রুবি বলেন, স্বজনদের মতামত নিয়ে তিনি বিষয়টি ওসিকে জানান। ওসি তাঁর স্বামীকে থানায় ডেকে এনে কাজির সঙ্গে কথা বলে কাবিনের ব্যবস্থা করেন।
সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, রুবির মৌখিক অভিযোগ পেয়ে আরিফুলকে থানায় ডেকে এনে কাজির সঙ্গে কথা বলে কাবিন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আর সহজে আরিফুল বলতে পারবে না যে তিনি বিয়ে করেননি। অটোরিকশাচালক আরিফুল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সখীপুর পৌরসভার কাজি (নিকাহ রেজিস্ট্রার) শফিউল ইসলাম কাবিন করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাঁচ লাখ টাকার কাবিন করা হয়েছে।