বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ ২৫ দশমিক ৮ স্কোর করে ১১৭টি দেশের মধ্যে ৮৮তম হয়েছে। এর আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬, যা ক্ষুধা সূচকে ‘ভীতিকর’ অবস্থাকে নির্দেশ করে । ২০১০ সালে স্কোর কিছুটা কমে হয় ৩০ দশমিক ৩। অর্থাৎ ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে যাচ্ছে।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ সোমবার বিশ্ব ক্ষুধা সূচক-২০১৯–এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টিসেবার লাইন ডিরেক্টর এস এম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুষ্টি কাউন্সিলের মহাপরিচালক শাহ নেওয়াজ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম মুসা এবং হেলভেটাস বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর উম্মে হাবিবা।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ সার্বিকভাবে উন্নতির দিকেই রয়েছে। বাংলাদেশ শিশুমৃত্যু হ্রাসে ভালো করেছে এবং অন্যান্য সূচকেও ভালো করবে। পুষ্টিহীনতা, খর্বাকৃতি শিশু এবং শিশুমৃত্যুর হার বাংলাদেশে হ্রাস পেয়েছে। সরকার সামাজিক নিরাপত্তার নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে কোন দেশের জনগণ কতটুকু ক্ষুধার্ত, তা তুলে ধরা হয় এই বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে। এই সূচকে শূন্য থেকে ১০০ পয়েন্টের মাপকাঠিতে যাচাই করা হয় কোন দেশ কতটা ক্ষুধাপীড়িত। এই মাপকাঠিতে শূন্য হচ্ছে সবচেয়ে ভালো স্কোর, যার অর্থ সেই দেশটিতে ক্ষুধা নেই। আর ১০০ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। ১০–এর কম স্কোর পাওয়ার অর্থ সেই দেশে ক্ষুধার সমস্যা কম। ২০ থেকে ৩৪ দশমিক ৯ স্কোরের অর্থ তীব্র ক্ষুধা, ৩৫ থেকে ৪৯ দশমিক ৯ অর্থ ভীতিকর ক্ষুধা আর ৫০ বা তার বেশি স্কোর বলতে বোঝায় চরমভাবে ভীতিকর ক্ষুধায় পীড়িত দেশকে।