বিশ্বজিৎ হত্যা: এক সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষের বৈরী ঘোষণা

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিশ্বজিৎ দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আজ বুধবার এক সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ পেট্রলপাম্পের কর্মচারী বাবর ওরফে বাবু আদালতে সাক্ষ্য দেন। কিন্তু সাক্ষী বাবরের সাক্ষ্য আসামিপক্ষের অনুকূলে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রফিকুল ইসলাম বাবরকে বৈরী ঘোষণা করেন।
আসামি রাশেদুজ্জামানের আইনজীবী আফানুর রহমান সাক্ষীকে জেরা করেন। আদালত আগামী ৫ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। আদালত সূত্র জানায়, বাবর ঘটনাস্থল বাহাদুর শাহ পার্কের (ভিক্টোরিয়া) সামনের একটি পেট্রল পাম্পের কর্মচারী। সাক্ষী বাবর আজ আদালতে যে সাক্ষ্য দেন, তার সঙ্গে পুলিশের কাছে ১৬১-ধারায় দেওয়া জবানবন্দির কোনো মিল নেই।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অবরোধ ছিল। আজ সাক্ষী বাবর আদালতকে বলেন, ঘটনার দিন হরতালের কারণে পাম্প বন্ধ ছিল। ওই দিন তিনি পাম্পে আসেননি। পরের দিন টিভি দেখে ঘটনা সম্পর্কে জানেন যে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে কয়েকজন লোক এক ব্যক্তিকে মারধর করেছেন। আবার তিনি সাক্ষ্যতে বলেন, ঘটনার দিন বিকেলে পুলিশ পাম্পের অফিসে জুতা রেখে যায়। পরের দিন পুলিশ এসে পাম্পের দোকান থেকে জুতা জব্দ করে। ওই পুলিশ কয়েকটি সাদা কাগজে তাঁর স্বাক্ষর নেয়।

এরপরই রাষ্ট্রপক্ষ এই সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা করে। পরে রাশেদুজ্জামান, গোলাম কিবরিয়া, টিপুসহ কয়েকজনের পক্ষে জেরা করা হয়। বিচারক নিজামুল হক আগামী ৫ আগস্ট পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এ মামলায় কারাগারে আটক আসামিরা হলেন রফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, এমদাদুল হক, জি এম রাশেদুজ্জামান, এইচ এম কিবরিয়া, কাইউম মিয়া, সাইফুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা। পলাতক আসামিরা হলেন রাজন তালুকদার, খন্দকার মো. ইউনুস আলী, আজিজুল হক, তারিক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, মীর মো. নূরে আলম, আল-আমিন শেখ, মনিরুল হক, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। আটক আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এস এম রফিকুল ইসলাম।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে নিরীহ পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যা করেন। এ মামলায় গত ৫ মার্চ ছাত্রলীগের ২১ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযোগপত্রভুক্ত ২১ আসামির মধ্যে আটজন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক।