স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর উন্নয়ন এক দিনে হয়নি। পৃথিবীর সব জায়গায় অবকাঠামোগত ত্রুটি-বিচ্যুতি আগেও ছিল। বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে সব অবকাঠামো নির্মাণ হয়নি। এর আগে থেকে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে। তখন অবকাঠামো নির্মাণে যেসব বিল্ডিং কোড ছিল, তার অনেক কিছুই মেনে চলা হয়নি। ফলে, এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের অনাকাক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটছে।
শেরপুর পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্কে আজ বুধবার বিকেলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে শেরপুর জেলাতেও রেলপথ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। তবে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার জন্য স্থানীয় সরকারের আয় বাড়াতে হবে। অর্থাৎ সময়মতো পৌরকর পরিশোধ করতে হবে।
মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বিল্ডিং কোড পরিবর্তন করে এখন নতুন বিল্ডিং কোড করে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। যে ভবনগুলো আছে, সেগুলোকে বিল্ডিং কোড মানতে বাধ্য করা হবে। প্রতিটি ভবনেই অগ্নিনির্বাপণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমান, শেরপুর-৩ (ঝিনাইগাতী-শ্রীবরদী) আসনের সাংসদ এ কে এম ফজলুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এ টি এম জিয়াউল ইসলাম, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা খাদ্যে উদ্বৃত্ত শেরপুর জেলাকে শিক্ষা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও সমৃদ্ধিশালী করার জন্য অনতিবিলম্বে জেলা সদরে রেলপথ, মেডিকেল কলেজ ও পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ১৮৬৯ সালের ১ এপ্রিল শেরপুরের তৎকালীন নয়আনী জমিদারের উদ্যোগে শেরপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম প্রশাসক ছিলেন টি এ ডনো।