রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় নির্মাণাধীন সেতু ভেঙে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাত শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আহত শ্রমিকেরা হলেন রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী গ্রামের মো. ফুলমিয়া (১৮), একই ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম (২৩), সুনামগঞ্জ উপজেলার তাহেরপুর উপজেলার ফিরোজপুর গ্রামের জুবায়ের আলী (১৭), একই ইউনিয়নের হলহলিয়াচর গ্রামের মোহামঞ্চদ আরা মিয়া (৪২), মো. নিয়াজ উদ্দিন (২৭) ও মো. বিল্লাল হোসেন (২৮), নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সংবুদাশ্বর গ্রামের মো. রোকন মিয়া (২৬)। সকাল ১০টার দিকে নির্মাণাধীন বিলাইছড়ি-ফারুয়া সড়কের সেতুর ঢালাইয়ের কাজ চলার সময় তিনটি গার্ডার ভেঙে শ্রমিকেরা গুরুতর আহত হন। আহত শ্রমিকদের উদ্ধারের পর বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা অভিজিৎ চৌধুরী জানান, আহত শ্রমিকদের সবাই গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। কারও হাত, কারও বুকের হাড় ভেঙে গেছে। কয়েকজনের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার রড ঢুকে গেছে। বিলাইছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী বদর উদ্দিন আহমেদ বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের কাজ চলছিল। এর কাজের ঠিকাদার রাঙামাটি ট্রেডার্স। সেতুর গার্ডার ভাঙার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিলাইছড়ি এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী সুবোধ চন্দ্র পাল বলেন, নির্মাণাধীন সেতুটির ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এত দিন ভালোভাবেই কাজ চলছিল। তবে বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অমর কুমার তঞ্চঙ্গ্যা অভিযোগ করেন, সেতুটির নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং নির্মাণত্রুটির কারণে গার্ডার ভেঙেছে।