বিনা বিচারে দেড় দশক ধরে বন্দী তিন আসামির জামিন

পৃথক তিনটি মামলায় বিনা বিচারে প্রায় দেড় দশক ধরে কারাগারে থাকা তিন আসামিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিন আসামি হলেন মকবুল, সেন্টু ও বিল্লাল হোসেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থাকায় বিনা বিচারে অপর এক মামলায় বন্দী চাঁন মিয়া জামিন পাননি। তাঁর মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁদের জামিনের রুল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতে শুনানিতে অংশ নেন গণমাধ্যমের সংবাদ নজরে আনা আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা ও কুমার দেবুল দে।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান।

আদালত চার আসামির বক্তব্য শোনেন। পরে আদেশ দেন।

সকাল সোয়া ১০টার দিকে ওই চার আসামিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। আসামিদের মধ্যে চাঁন মিয়া, মকবুল ও সেন্টু ১৬ বছর ধরে এবং বিল্লাহ হোসেন ১৪ বছর ধরে কারাগারে আছেন।

গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই চার আসামিকে ৪ ডিসেম্বর (আজ) আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

বিনা বিচারে প্রায় দেড় দশক ধরে চারজন বন্দী—এ বিষয়ে গত ১৬ নভেম্বর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রচারিত হয়। প্রতিবেদনটি নজরে আনলে স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন আদালত।

রুলে ওই চারজনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলার নথিপত্রও তলব করা হয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর শ্যামপুর থানার একটি হত্যা মামলায় ২০০১ সালের ৭ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন চাঁন মিয়া। সেই থেকে কারাগারে আছেন তিনি।

রাজধানীর উত্তরা থানার একটি হত্যা মামলায় ২০০০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হন মাদারীপুরের মকবুল হোসেন। তখন থেকে কারাগারে আছেন তিনি।

মতিঝিল থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সেন্টু ওরফে কামাল ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে কারাগারে আছেন।

তেজগাঁও থানার একটি হত্যা মামলায় ২০০২ সালের ২১ নভেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে এখনো কারাগারে আছেন বিল্লাল।