বিধিনিষেধে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাতে ১০৬ ম্যাজিস্ট্রেট

বাংলাদেশ সরকারের লোগো
বাংলাদেশ সরকারের লোগো

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার জন্য বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

এ বিষয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই সব কর্মকর্তা বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে থেকে এই দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তারা বর্তমানে বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত।

এর আগে বিধিনিষেধের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা আদেশে বলা হয়েছিল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এরই আলোকে মূলত ১০৬ জন কর্মকর্তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এবার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য টহলে থাকবে সেনাবাহিনী। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয়সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন।

এদিকে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয়ভাবে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবেন।

মন্ত্রিপরিষদের আদেশ অনুযায়ী, কাল থেকে সাত দিনের যে বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে তাতে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, শপিংমল, মার্কেটসহ সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এমনকি অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলও বন্ধ থাকবে। এ রকমভাবে মোট ২১ ধরনের বিধিনিষেধ দিয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাতে কোন কোন প্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ থাকবে, আর কোন কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।