দেশের মুখ উজ্জ্বল করা কলসিন্দুর গ্রামের সেই কিশোরীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের গ্রামে বিদ্যুৎ যাচ্ছে। আজ শনিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক ফেসবুক বার্তায় এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকের কাছে তিনি এই বার্তা পাঠান।
জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৪ দলের খেলোয়াড়দের ১০ জনই ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের মেয়ে। তারা সবাই কলসিন্দুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তারা ফজিলাতুন্নেছা কাপের চ্যাম্পিয়ন। নেপালে এএফসি কাপে ভুটানকে হারিয়েছে ১৬-০ গোলে। সম্প্রতি প্রথম আলো’র ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অদম্য এই কিশোরীদের নিয়ে তৈরি হয় একটি প্রামাণ্যচিত্র। তা দেখানো হয় প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে। যা দেখে প্রায় প্রতিটি মানুষের চোখ ভিজে ওঠে।
গতকাল শুক্রবার লড়াকু এই মেয়েরা এসেছিল ওই অনুষ্ঠানে। ছোট্ট এই গ্রাম থেকে জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের উঠে আসার গল্প নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র দেখতে পেয়ে চোখেমুখে ছিল আনন্দ আর গর্ব। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই যেন তা মিইয়ে গেল। একটু যেন বিষণ্ন। কেননা তাদের গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। তারা সেখানে এই প্রামাণ্যচিত্রটি দেখতে পাবে না।
আনিসুল হক তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তারা কী চায়। তাদের সবার পক্ষ থেকে একটাই চাওয়া ছিল—বিদ্যুৎ।
এ নিয়ে আজ সকালে বিশিষ্ট এই লেখক তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি ওই গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। লেখেন, ‘...মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যে একটা মাত্র গ্রাম ১০ জন জাতীয় খেলোয়াড় তৈরি করতে পারে, সেই গ্রামে অবশ্যই বিদ্যুৎ যাওয়া উচিত।
আসুন ফুলের মতো ফুটফুটে এই বাচ্চাগুলোর এই চাওয়াটাকে আমরা সম্মান করি।’
এই স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছু সময় পরই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এই লেখককে ফেসবুকে বার্তা ইনবক্সে জানিয়েছেন, তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর (নসরুল হামিদের) সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও ওই প্রতিমন্ত্রী বিদেশে আছেন, তবুও তিনি যথাযথ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন কলসিন্দুর গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা নিতে।
আরও পড়ুন: