তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ডাউন লিংক করে দেখানো বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। আগামী ১ এপ্রিল থেকে কেউ যদি তা করে, তাহলে আইন প্রয়োগ করা হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘সংকটে বেসরকারি টেলিভিশন’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র।
তথ্যমন্ত্রী কেবল অপারেটরদের উদ্দেশে বলেন, ডাউন লিংক করে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধু এ–সংক্রান্ত আইন যথাযথভাবে মানা হলে বছরে দেশে ৫০০ কোটি টাকা বাড়বে। তিনি টেলিভিশনে বিদ্যমান সমস্যার কথা ইঙ্গিত করে বলেন, ‘টিভিশিল্পকে সুরক্ষা দিতে আসুন সবাই একযোগে কাজ করি।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। তিনি তাঁর প্রবন্ধে বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো নানা সংকটে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই অপ্রত্যাশিতভাবে কর্মহীন হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। কোনো কোনো টেলিভিশন চ্যানেল আর্থিক ক্ষতির দোহাই দিয়ে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে শুধু একটি নোটিশ দিয়ে বার্তাকক্ষ গুটিয়ে ফেলছে। কোনো আগাম ঘোষণা ছাড়াই সাংবাদিক ও কর্মী ছাঁটাই করছে। আবার ছদ্মবেকারও আছে অনেক। যেমন: চাকরি আছে, বেতন নেই। কোনো কোনো চ্যানেল কর্তৃপক্ষ মাসের পর মাস সাংবাদিক ও অন্য কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। কোনো কোনো চ্যানেল আবার বেতন কমিয়ে দিচ্ছে। চ্যানেলের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু বিজ্ঞাপনের দরপতন হচ্ছে। বড় বড় কোম্পানির বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। এর ফলে দেশীয় চ্যানেলগুলো আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ছে।
ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যম সংকটে রয়েছে। গণতন্ত্রকে সংহত করতে গণমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের উদ্যোগ চাই।’ তিনি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক ইউনিয়ন করার তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক। সংগঠনটির সদস্যসচিব শাকিল আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা দেন ডিবিসি টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, চ্যানেল ২৪–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ, বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আসফার খায়ের, স্কাই এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কের নুরুল আলম প্রমুখ।