বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি মারা গেছেন। তাঁর নাম মাসুদ আহমেদ (৬২)। গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় হৃদ্রোগ হাসপাতালে তিনি মারা যান। পুলিশ ও মাসুদ আহমেদের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মাসুদ আহমেদের মেয়ের জামাই শহীদ আকন্দ গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর শ্বশুর রাঙামাটি জেলায় বিলুপ্ত বিডিআরের হাবিলদার ছিলেন। এ বছর তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। চিকিৎসার জন্য প্রায়ই তাঁকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মহাখালীতে ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি করা হতো। কিছুটা ভালো হলে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো হতো। সর্বশেষ ১৬ অক্টোবর মাসুদ আহমেদকে ক্যানসার হাসপাতালে নেওয়া হয়। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তাঁকে জাতীয় হৃদ্রোগ হাসপাতালে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান।
শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় মাসুদ আহমেদের সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। তাঁর কয়েদি নম্বর ৯৭৪৭। দুই বছর পর তাঁর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেলে মাসুদ আহমেদের লাশ তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।