কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জ্বালানি তেলের একটি ট্যাংক লরি বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন ব্যক্তি দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার সকালে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের কুলিয়ারচরের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি গাড়ি মেরামতের দোকানের সামনে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে আলী আকবর মিয়া নামের এক ব্যক্তির একটি মার্কেট আছে। ওই মার্কেটে ১০টি দোকান আছে। বেশির ভাগ দোকান মোটর ওয়ার্কশপের। মার্কেটে মাহাদি ওয়ার্কশপ নামে একটি গাড়ি মেরামতের দোকান আছে। তিন দিন আগে ওই ওয়ার্কশপে জ্বালানি তেলের একটি ট্যাংক লরি রাখা ছিল। লরিতে তেল ছিল না। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিকট শব্দে লরিটির পেছনের অংশ উড়ে গিয়ে কয়েক শ গজ দূরে ছিটকে পড়ে। লরি থেকে বের হওয়া গরম হাওয়ায় ওই সময় লরির কাছে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
আহত শফিক মিয়া ওয়ার্কশপের কর্মচারী। মো. নাঈম মার্কেটের নাজমা মোটরের কর্মচারী ও সালমান মিয়া পথচারী। নাঈম ও সালমান আগরপুর গ্রামের বাসিন্দা। শফিকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন রুবেল মিয়া। তিনি নাজমা মোটরের মালিক। রুবেল বলেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি কিছুটা দূরে ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি। শরীরে গরম বাতাসের স্পর্শ অনুভব করেন। পরে তিনি ফিরে দেখতে পান কয়েকজনের চামড়া ঝলসে গেছে।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান দিপু এবং কুলিয়ারচর থেকে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান দিপু বলেন, লরিটি তেলশূন্য ছিল। তেলবাহী থেকে পানি ছিটানোর কাজে রূপান্তরের জন্য ওয়ার্কশপে আনা হয়েছিল লরিটি। লরিটি দীর্ঘদিন আবদ্ধ অবস্থায় ছিল। সে কারণে ভেতরে সৃষ্ট গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।