বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রথম যকৃৎ প্রতিস্থাপন হয়েছে। মায়ের যকৃৎ অসুস্থ ছেলের শরীরে প্রতিস্থাপন করেছেন বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসকেরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ছেলে ও মা ভালো আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম যকৃৎ প্রতিস্থাপন বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘যকৃৎ প্রতিস্থাপন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিস্থাপন উদ্যোগের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জুলফিকার রহমান খানের নেতৃত্বে এই প্রতিস্থাপন হয়েছে। অধ্যাপক মো. জুলফিকার রহমান খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২৪ জুন ভোরবেলায় এই অস্ত্রোপচার শুরু হয়। শেষ হতে সময় লাগে ১৬ ঘণ্টার বেশি। এই চিকিৎসা হয়েছে প্রায় বিনা মূল্যে।’
২০ বছর বয়সী কলেজছাত্রের লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে দুই বছর আগে। চিকিৎসকেরা যকৃৎ প্রতিস্থাপনকেই উত্তম বিকল্প হিসেবে বেছে নেন। যকৃৎ দেওয়ার জন্য ছেলেটির মা রাজি হন। যকৃৎ প্রতিস্থাপনে অধ্যাপক মো. জুলফিকার রহমান খান ও তাঁর দলকে সব ধরনের সহায়তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অত্যাধুনিক চিকিৎসাকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তুত।
অধ্যাপক মো. জুলফিকার রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।