বিএনপি নেতা আসলামসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী
ফাইল ছবি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়েছে। আট বছর আগে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির এই নেতাকে মূল আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৩৫ জন দুটি মামলার আসামি আর একটিতে এই ৩৫ জনসহ ৬৮ জন আসামি।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে তিনটি পৃথক আদালত এ আদেশ দেন। চট্টগ্রাম জেলা সরকারি কৌঁসুলি এ কে এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও অতিরিক্ত কৌঁসুলি লোকমান হোসেন চৌধুরী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের একাধিক স্থানে বিভিন্ন যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। একই বছরের ১৭ নভেম্বর সীতাকুণ্ড এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে। তদন্ত শেষে পুলিশ আসলাম চৌধুরীসহ ৩৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

এই দুই মামলায় আজ পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমারের আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

অপর দিকে সীতাকুণ্ড থানার আরেকটি বিস্ফোরক মামলায় আসলাম চৌধুরীসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সারোয়ার আলমের আদালতে। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর রাতে সীতাকুণ্ডের বদ্দারপুল এলাকায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে আসামিরা ককটেল ও বিস্ফোরক ছুড়ে মারে। পুলিশের করা এই মামলায় ৬৮ আসামির মধ্যে ২৮ জন জামিনে রয়েছেন।

গত বছরও আসলামের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে আটক করা হয়। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর একই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়।

এদিকে আজ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসলাম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।