বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গাজীপুর-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সালাহউদ্দিন সরকারসহ বিএনপির ২৪ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ ছাড়া ১২ নেতার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শামীমা খাতুনের আদালত এই আদেশ দেন।

গাজীপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, জয়দেবপুর থানার ওই মামলায় গত ১৯ আগস্ট অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। গতকাল ছিল মামলার ধার্য তারিখ। আসামিরা ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। গতকাল ১২ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত মামলার পলাতক ২৪ আসামির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের রাজবাড়ি রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছিল। সে সময় দলের লোকজন নিজেদের মধ্যে মারামারি করেন। এ সময় পুলিশ আইনশৃঙ্খলা ও জানমাল রক্ষার স্বার্থে শটগানের গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সরকারি কাজে বাধা দেন। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ হাসান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম এ মান্নানসহ ৩৬ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। এসআই এনায়েত হোসেন গত ১৯ আগস্ট সব আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গতকাল যাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন গাজীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক মোল্লা, গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বশির আহাম্মেদ, সিটি কাউন্সিলর তানভীর আহাম্মেদ, সাবেক কাউন্সিলর খায়রুল আলম, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর শিরিন চাকলাদার, গাজীপুর মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কালিম লস্কর, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুর রশিদ, মহানগর বিএনপির নেতা ইজাদুর রহমান, কামরুল ইসলাম ও মো. রিপন।

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর এই মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে। যাতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কারাগারে থাকেন ও নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে না পারেন।