নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিরোধ সংঘর্ষে গড়াচ্ছে। গত এক সপ্তাহে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ছয়জন নেতা-কর্মী আহত হন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে দলীয় প্রার্থিতা প্রত্যাশা করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক সাংসদ মোজামেঞ্চল হক ও একরামুল আলম এবং দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূরের স্ত্রী মহুয়া নূর। এ নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে একরামুল ও মহুয়া নূরের সমর্থকদের মধ্যে কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
৮ আগস্ট বড়াইগ্রামের রাজাপুর বাজারে একরামুল আলম আয়োজিত ইফতার মাহফিলে হামলা চালিয়ে কয়েক যুবক মঞ্চ ভাঙচুর করেন। একরামুলের দাবি, মহুয়া নূরের সমর্থকেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এরপর গত সোমবার বিকেলে বনপাড়া ডিগ্রি কলেজের সামনে উভয়পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মহুয়া নূরের সমর্থক স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা সভাপতি জামাল মাসুদ ওরফে লিটন, মৎস্যজীবী দলের উপজেলা সভাপতি আবদুল আজিজ ও যুবদলের উপজেলা সহসাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান আহত হন। সংঘর্ষে একরামুলের সমর্থক সোহরাব মোল্লা, ইলেন হোসেন ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আহত হন। এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মামলা হয়নি।
নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য মহুয়া নূর বলেন, ‘বড়াইগ্রামে সংঘাতের রাজনীতির জন্ম দিয়েছেন একরামুল আলম। তাঁকে এখন আর কেউ বিএনপির নেতা মনে করেন না।’ একরামুল আলম বলেন, ‘আজীবন বিএনপির রাজনীতি করে আসছি। আমি কেন বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারতে যাব?’
বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কেউ দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। তবে দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন।