বিতর্কিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টকে (বিএনএফ) নিয়ে ছয়দলীয় সংসদীয় জোট গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের সংসদীয় জোটের এ তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।
জোটের বাকি চারটি দল হলো ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে কমিশনকে ছয়দলীয় এই জোট গঠনের ব্যাপারে জানানো হয়। চিঠিটি দুপুরে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কায়সার ও ফজিলাতুন নেসা কমিশনে জমা দেন।
বিএনএফকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় জোট গঠন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার আগেই বিতর্কিত হয় বিএনএফ। দলটি নির্বাচনী প্রতীক ‘গমের শীষ’ চেয়ে প্রথম আলোচনায় আসে। তখন বিএনএফকে নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছিল। দলটির অভিযোগ ছিল, বিএনপিকে ভাঙার জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনএফ নামে একটি দল দাঁড় করানো হচ্ছে।
এমনকি নির্বাচন কমিশন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই বিএনএফকে নিবন্ধিত করেছে বলেও অভিযোগ আছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দলটির প্রধান আবুল কালাম আজাদ ঢাকা-১৭ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি গতকাল জানিয়েছে, তারা সংসদে কোনো জোট গঠন না করে এককভাবে থাকবে। তবে ১৬ জন স্বতন্ত্র সাংসদ জোট গঠনের কথা জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন।
কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক সাংবাদিকদের বলেন, জোটগত অবস্থান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া চিঠি শিগগির কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। এরপর কমিশন তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেবে।
আইন অনুযায়ী সংসদে পাওয়া আসনের সংখ্যানুপাতে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন দলগুলোর মধ্যে বণ্টন করা হবে।
দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। কিন্তু দুটি আসনের ফলাফল গেজেটে প্রকাশ না করায় এবং একটি আসনের সাংসদ সম্প্রতি মারা যাওয়ায় এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের আসন ২৩১টি। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ৩৪, ওয়ার্কার্স পার্টি ছয়, জাসদ পাঁচ, জেপি দুই, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন দুই ও বিএনএফ একটি আসন পেয়েছে। ১৬ আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।