চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে পুলিশ রাতের বেলায় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন বিএনপির প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে। নেতা-কর্মীদের উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে এতে যুক্ত রয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মমিনুল হক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ গ্রামের বাড়িতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনকে গালিগালাজ করছেন। তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে তাঁদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মমিনুল হক। তিনি বলেন, পুলিশ নির্বিচার তাঁদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। ইতিমধ্যে ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চার শ নেতা-কর্মীর নামে ও এক হাজার নেতা-কর্মীকে বেনামে আসামি করে দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলা-হামলার কারণে নেতা-কর্মীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি গণসংযোগ করতে পারছেন না।
মমিনুল হক আরও বলেন, বর্তমান সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম সাহেব ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে এবং ২০১৪ সালে ভোটবিহীন নির্বাচনে সাংসদ হয়েছেন। তিনি দলীয় নেতা-কর্মী ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। সন্ত্রাস ও প্রশাসনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হতে চান। কিন্তু হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মানুষ এটি মেনে নেবেন না। তিনি বলেন, ১২ ডিসেম্বর বেলচোঁ বাজারে গণসংযোগ থেকে ১৯ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। রাতে ১৭ জন নেতা-কর্মীকে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের আগের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ভাতাপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী রয়েছেন। ১৪ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জের কাজিরগাঁও, সুহিলপুর ও ছয়ছিলা গ্রামে উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পুলিশ তাঁর গণসংযোগ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ১৫ ডিসেম্বর শাহরাস্তির লোটরা বাজারে গণসংযোগে আসা নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় ২০ জন গুরুতর জখম হন।