জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীকে বাসে উত্ত্যক্ত করায় এক পোশাকশ্রমিককে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুচলেকা দিয়ে ওই যুবক ছাড়া পান।
অভিযুক্ত যুবকের নাম মোহাম্মদ আলী (২৪)। তিনি সাভারের জে কে গার্মেন্টসে কাজ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদীতে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে (তৃতীয় বর্ষ) অধ্যয়নরত।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কার্যালয় সূত্র জানায়, বেলা দেড়টার দিকে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে করে রাজধানীর আসাদগেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন ওই ছাত্রী। বাস আমিনবাজার এলাকায় এলে মোহাম্মদ আলী ওই বাসে ওঠেন। এর কিছুক্ষণ পরে ওই ছাত্রীকে ইঙ্গিত করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও মুঠোফোনে ছবি তোলেন তিনি।
বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই ছাত্রী বাসের অন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে ছবি তোলার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ওই ছাত্রী ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তাঁর সহপাঠীদের ডাকেন। বাসটি প্রধান ফটকে এলে তাঁর সহপাঠীরা উত্ত্যক্তকারীকে বাস থেকে নামিয়ে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অভিযুক্তকে নিরাপত্তা কার্যালয়ে নিয়ে যান। পরে অভিযোগ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে ও আর কাউকে উত্ত্যক্ত না করার প্রতিশ্রুতি দিলে ওই ছাত্রী মোহাম্মদ আলীকে ক্ষমা করে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, অভিযোগকারী যেহেতু তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ও এ বিষয়ে কোনো মামলা করেননি, তাই মুচলেকা নিয়ে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষে অভিযুক্তের খালা এসে মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে গেছেন।