ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করায় কাজিকে তিন মাস ও বরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন এ সাজা দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের কাজি আবদুল আজিজ ও বর একই ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন (২১)।
বুধবার রাতে সদর উপজেলার এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর (১৬) বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে ইউএনও আবদুল্লাহ আল মামুন কয়েকজন পুলিশ নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে যান ও বিয়ে বন্ধ করে দেন। টের পেয়ে সে সময় কনে ও তার মা-বাবা পালিয়ে যান। তবে বিয়ের কাজি আবদুল আজিজ ও বর আল আমিনকে আটক করে পুলিশ।
ইউএনও আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আল আমিনের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। বরপক্ষ সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। এলাকাবাসীর কাছে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। দুই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা মেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে কাজি ও বর তাঁদের অপরাধ স্বীকার করে নেন। পরে রাত ১১টার দিকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বিবাহ নিবন্ধন বাতিল করাসহ কাজিকে তিন ও বরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বলেন, এই বাল্যবিবাহ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি কাজি ও বরের সাজা হওয়ায় অন্য অভিভাবকেরা সচেতন হবেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক তানভিরুল ইসলাম বলেন, সাজাপ্রাপ্ত কাজি ও বরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।