চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভের সময় গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। গতকাল শুক্রবারের সংঘাত-সহিংসতার পর তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন বলে হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী ইনামুল হাসান ফারুকী প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দলের কর্মীরা ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এরপর চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ শুরু হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। তাতে হাটহাজারীতে চারজন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন নিহত হন বলে পুলিশ জানায়।
বিবৃতিতে বাবুনগরী গুলিবর্ষণের জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এভাবে পুলিশের গুলিবর্ষণের ন্যক্কারজনক ঘটনা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এর জবাব প্রশাসনকে অবশ্যই দিতে হবে এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এ আন্দোলন দেশ কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে ছিল না উল্লেখ করে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান হেফাজত আমির। এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটলে আন্দোলনের ‘দাবানল’ জ্বলে উঠবে বলেও সরকারকে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
হাটহাজারীতে বিক্ষোভ-সংঘাতের পর সড়ক অবরোধ করেছিল মাদ্রাসার ছাত্ররা। জুনায়েদ বাবুনগরী মধ্যরাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদের মাদ্রাসায় ফেরান।
অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভকারীরা রেলস্টেশন হামলা ও ভাঙচুর চালান। তাঁরা স্টেশনে থাকা ট্রেনের সিগন্যাল প্যানেল বোর্ড এবং স্টেশনের সাতটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। রেললাইনের স্লিপারও তুলে ফেলেছিলেন তাঁরা।