পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের (পাচউবো) প্রায় দেড় যুগ আগে নির্মিত বান্দরবান কেন্দ্রীয় বাসস্টেশনটি ব্যবহার উপযোগী করতে একটি সুড়ঙ্গপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ ফুট দীর্ঘ এ সুড়ঙ্গপথ হলে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রীরা সবাই বাসস্টেশনটি ব্যবহারে উৎসাহী হবে বলে পাচউবোর প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন। নির্মাণের পর থেকে বাসস্টেশনটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তবে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পৌরসভার কর্মকর্তারা বলেছেন, সুড়ঙ্গপথে যানবাহন চলাচলে সহজ হলেও যাত্রীরা বাসস্টেশনে আসার এবং স্টেশন থেকে গন্তব্যে যাওয়ার সহজ চলাচলের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনিকভাবে বাসস্টেশন থেকে যানবাহন ও যাত্রী চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন ২০০২-০৩ অর্থবছরে বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের পাশে হাফেজঘোনা এলাকায় বান্দরবান কেন্দ্রীয় বাসস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এটি ২০১২ সালে বান্দরবান পৌরসভাকে হস্তান্তর করা হয়।
পৌরসভার সচিব তৌহিদুর রহমান বলেছেন, প্রধান সড়ক থেকে বাসস্টেশনে যাওয়ার সড়ক ভালো নয়। এ ছাড়া জেলা শহরে যাওয়ার ছোট যানবাহনের চলাচলেরও ব্যবস্থা নেই। এসব সমস্যার কারণে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা বাসস্টেশনটি ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করেন। সুড়ঙ্গপথ করার পাশাপাশি এ সমস্যাগুলো দূর করা গেলে বাসস্টেশনটি প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠবে।
পরিবহন মালিক সমিতির সহসভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ বলেছেন, বাসস্টেশনটিতে যাত্রী গেলে যানবাহন যেতে বাধ্য হবে। পরিবহন ব্যবস্থার পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা থাকলে এটি জমজমাট হয়ে উঠবে। সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের পাশাপাশি এসব বিষয় নিয়েও ভাবতে হবে।
পাচউবোর বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী ইয়াছির আরাফাত বলেছেন, মূল সড়কের সঙ্গে বাসস্টেশনের সংযোগের অংশটি বর্ষাকালে পাহাড়ধসে প্রায় সময় বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্য সেখানে সুড়ঙ্গপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে নির্মাণ শেষ হবে। এটি নির্মাণ শেষ হলে সারা বছরে যানবাহন চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না। পর্যটনের জন্যও সুড়ঙ্গপথ আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে নির্বাহী প্রকৌশলী মনে করেন।