বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) একটি ট্যাংকলরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে গেছে। সাড়ে ১৭ হাজার মেট্রিক টন এলপিজি নিয়ে লরিটি মোংলা প্ল্যান্ট থেকে বগুড়া প্ল্যান্টে যাচ্ছিল।
আজ শনিবার ভোরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্যাংকলরিটি থেকে গ্যাস বের হতে থাকায় আশপাশের এলাকায় মাইকিং করে লোকজনকে কোনো ধরনের আগুন না জ্বালাতে সতর্ক করেছে প্রশাসন। দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট, মোংলা ইপিজেড ও খুলনার চারটি ইউনিয়ন ঘটনাস্থল ঘিরে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে।
দুপুরে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গ্যাসবাহী ট্যাংকলরিটি সড়কের পাশে পড়ে আছে। ট্যাংকলরিটি থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে কাউকে যেতে দিচ্ছেন না। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। হাইওয়ে পুলিশ সড়কে যান চলাচল বিষয়টি দেখছিল। বিকেলের দিকে অবশ্য লরিটি উদ্ধার করে পাশে রাখা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে ট্যাংকলরিটি থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। সকাল ছয়টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে ফায়ার সার্ভিস। কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তা মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।
যমুনা গ্যাসের মোংলা প্ল্যান্ট ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বলেন, ট্যাংকলরিটিতে করে সাড়ে ১৭ হাজার মেট্রিক টন এলপি গ্যাস মোংলা প্ল্যান্ট থেকে বগুড়া প্ল্যান্টে নেওয়া হচ্ছিল। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায় এবং গ্যাস বের হতে থাকে। এ দুর্ঘটনায় লরির চালক ও তাঁর সহকারী সামান্য আহত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুজ্জামান বলেন, সকাল থেকে স্থানীয় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে দুর্ঘটনাস্থল থেকে লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয়েছে। আশপাশে দোকানপাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কোনো ধরনের আগুন না জ্বালাতে মাইকের মাধ্যমে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।