বাংলা একাডেমিতে সেলিনা হোসেনের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন

কেক কেটে উদ্‌যাপন করা হয় প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী
ছবি: সংগৃহীত

সেলিনা হোসেনের সাহিত্যকর্ম উৎস থেকে নিরন্তর সৃষ্টিসুখী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্বকালে নূরুল হুদা বলেন, সেলিনা হোসেন বাংলা সাহিত্যের এক চির-আধুনিক কথাসাহিত্যিক। বাংলাদেশের সংগ্রামে অভিযাত্রা ও সেলিনা হোসেনের কথাসাহিত্য সমার্থক।  

বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ এই লেখকের জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন একাডেমির পরিচালক ও উপপরিচালকেরা। আলোচকেরা বলেন, সেলিনা হোসেনের কাজে মেধা ও মননের স্বাক্ষর স্বতন্ত্র। তাঁর লেখা বই দেশের বাইরেও পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত। সেলিনা হোসেন ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগ দিয়ে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন এখানে। আবারও তিনি সভাপতি হিসেবে একাডেমিতে ফিরে আসায় তাঁরা অভিভাবক পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সেলিনা হোসেনকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম।

৭৫তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে নিজের কথা বলতে গিয়ে সেলিনা হোসেন বলেন, অন্য জায়গায় চাকরি হলেও তা না করে বাংলা একাডেমিতেই যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নিজেকে তৈরি করার জন্য গবেষণা, শিল্প-সাহিত্যচর্চা সব মিলিয়ে বাংলা একাডেমি তাঁর কাছে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো।

শক্তিমান এই কথাসাহিত্যিকের জন্ম ১৯৪৭ সালে রাজশাহীতে। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন সময় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।