ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতো যুক্তরাজ্যও বাংলাদেশে ২০২৩ সালের শেষে অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়াসহ বহুপক্ষীয় ও স্বচ্ছ গণতন্ত্র দেখতে চায়। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন।
একটি দেশের স্থিতিশীলতা ও বিকাশে গণতন্ত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করে লিখিত বক্তৃতায় রবার্ট ডিকসন বলেন, ‘ব্যাপক অর্থে আমরা মনে করি, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, জবাবদিহি এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনসহ অবাধ ও গণতান্ত্রিক সমাজেই দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিকশিত হয়।’
অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়ে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার বলেন, প্রথমত সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের আগে সভা-সমাবেশ আয়োজনের সুযোগ দিতে হবে। যাতে দলগুলো দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সত্যিকার অর্থেই বিতর্কে অবতীর্ণ হতে পারে। দ্বিতীয়ত, সবাই যেন অবাধে ভোট দিতে পারে। তৃতীয়ত, বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভোট গণনা করতে হবে। চূড়ান্ত বিষয়টি হচ্ছে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্য ফলাফল পরাজিত পক্ষসহ সবাইকে মেনে নিতে হবে।
তাঁর মতে, নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নির্বাচনকালীন প্রশাসনের বিষয়ে একটি বার্তা দেবে। অংশগ্রহণমূলক এবং নির্দলীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন পরিচালনাসহ অবাধ ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের জোরালো অঙ্গীকার নির্বাচনকালীন প্রেক্ষাপট তৈরির ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে।
বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার ওপর যুক্তরাজ্য গুরুত্ব দিচ্ছে কেন এমন এক প্রশ্নের উত্তরে রবার্ট ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাত্রা করছে। তাই এ দেশে ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন, আইনের শাসন ও সুশাসন গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনে সমস্যা থাকলে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ মসৃণ না–ও হতে পারে।
এক প্রশ্নের উত্তরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তাঁদের প্রত্যাশা।
ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।