ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় যেসব বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে, তাঁদের মরদেহ আগামী মঙ্গলবার আনা হবে। আজ শুক্রবার কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসের মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য দেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের কর্মকর্তা এএসপি আবদুস সালাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজকের মধ্যেই নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত শেষ হবে। কাল থেকে শনাক্তকরণের কাজ শুরু হবে। যেসব মৃতদেহ খালি চোখে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে, সেগুলো আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে একযোগে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানো হবে।
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত সোমবার ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেল আহমেদ বলেন, যেসব মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না, সেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে। প্রোফাইলিংয়ের জন্য এসব মৃতদেহের দাঁত, চুল, নখ বা পোশাকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ।
রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেন, নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনেরা চান, সবার মৃতদেহ একসঙ্গে পাঠানো হোক। সে জন্য সবার লাশ একসঙ্গে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী রোববার ঢাকার সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে গিয়ে নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনদের যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়।