চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ঢাকায় পৃথক মানববন্ধন করেছে দুটি সংগঠন। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আলাদা আলাদা সময়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল এগারোটার দিকে নিজেদের সচেতন নাগরিক সমাজের কর্মী দাবি করে ৩৫-৪০ জন ব্যক্তি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে, এই গোষ্ঠী বিএনপি ও জামায়াতে ইসলাম বলে তারা দাবি করেন। মানববন্ধনে সাধারণ মানুষকে পুঁজি করে বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলে জামাত বিএনপির ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
দুপুর পৌনে বারটার দিকে একই স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বাঁশখালীতে নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ও পরিবেশ ধ্বংসকারী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ প্রায় ৭০-৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক সুকোমল বড়ুয়া বলেন, মানুষ উন্নয়ন চায়, কিন্তু কোনো ধ্বংসাত্মক উন্নয়ন চায় না। মানুষ হত্যা করে কীভাবে উন্নয়ন সম্ভব? তিনি আরও বলেন, সরকার বেসরকারি কোম্পানির পক্ষ কেন নিচ্ছে? কেন সরকারের বাহিনী সাধারণ মানুষকে উন্নয়নের নামে হত্যা করছে?
বাঁশখালী সমিতি ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি শাহি আলমের দাবি, প্রশাসন লাশ গুম করেছে, ওই ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে। দ্রুত নিহতদের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তরের দাবি জানান তিনি।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) প্রতিনিধি শরীফ জামিন বলেন, সারা বিশ্বে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করা হচ্ছে। চীন তাদের সকল প্রকল্প বাতিল করছে। আর বাংলাদেশ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা একের পর এক গ্রহণ করা হচ্ছে। সুন্দরবনের রামপালের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে, আর বাঁশখালীতে কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সরাসরি সাধারণ জনগণ ধ্বংসের সম্মুখীন হবে।