প্রায় ১৪ কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে পালানো ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার কিশোরগঞ্জে মুখ্য বিচারিক হাকিম আ. ছালাম খান আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ দুপুরে কঠোর নিরাপত্তায় পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করে। এ সময় দুদকের আইনজীবী মো. আবদুর রহমান আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন আইনজীবী অশোক সরকার।
১৭ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় পিরোজপুর সার্কিট হাউসের সামনে থেকে সেতাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দুদক বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সমন্বিত দল।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি দুদক ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রামপ্রসাদ মণ্ডল বাদী হয়ে সেতাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সেতাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদিত ভূমি অধিগ্রহণের সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের প্রায় ১৪ কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে পালিয়ে যান সেতাফুল ইসলাম। এর মধ্যে পরপর দুই দিনে তিনি সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখা থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তুলে বস্তায় ভরে নিয়ে গেছেন। এর আগে তিনি প্রায় আট কোটি টাকা সরিয়ে নেন। এ ছাড়া আরও ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য ব্যাংক চেক তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি পালিয়ে যান। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সেতাফুল ইসলামের আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ অর্ধশত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তাঁকে খুঁজে না পেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
গত ৩ ডিসেম্বর সেতাফুল ইসলামকে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পিরোজপুরের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। ১৩ ডিসেম্বর তিনি পিরোজপুরে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।