করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাঁশ উত্তর ইউনিয়নের পয়ালগুচ্ছ গ্রামে জহিরুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক আজ শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। জহিরুল পয়ালগুচ্ছ গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় করাতকলের কর্মী ছিলেন।
জানতে চাইলে আজ রাত সোয়া ৯টার দিকে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুল ইসলাম বলেন, ওই যুবক বিকেলে মারা গেছেন। নিয়মানুযায়ী, কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সেই সময় পার হয়ে গেছে। তাঁরা জেনেছেন রাত ৯টার দিকে। রাতেই সীমিত লোক দিয়ে জানাজা হবে। এরপর তাঁকে দাফন করা হবে। রোববার তাঁর পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এই এলাকা লকডাউন করা হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে জহিরুল ইসলামের শরীরে পক্স দেখা দেয়। শনিবার সকালে জ্বর, সর্দি, কাশি হলে তিনি বরুড়া উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। হাসপাতালের চিকিত্সক তাঁকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলেন। কিন্তু ওই যুবক হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতে চলে যান। বিকেলে তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হচ্ছিল। সন্ধ্যায় পথিমধ্যে তিনি মারা যান। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর এশার নামাজের দিকে তা জানাজানি হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়।