মাত্র এক মাস আগে বিয়ে হয়েছিল বন্যা বেগমের (১৮)। এক সপ্তাহ আগে বেড়াতে আসেন বাবার বাড়িতে। ঠিক তখনই শুরু হয় ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যার। আর সেই বানের পানিতে ডুবেই মৃত্যু হলো বন্যা বেগমের।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের পূর্ব খাসপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বন্যা ওই গ্রামের জমসেদ আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া গ্রামের রাসেল মিয়ার সঙ্গে বন্যা বেগমের বিয়ে হয়। এক সপ্তাহ আগে পূর্ব খাসপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। গতকাল বিকেলে দুই চাচাতো বোনের সঙ্গে কলাগাছের ভেলায় চড়ে বন্যার পানিতে বেড়াতে যান তিনি। কিন্তু হঠাৎ বন্যা বেগম ভেলা থেকে পা পিছলে পানিতে পড়ে যান।
সাঁতার জানতেন না বন্যা। এ কারণে পানিতে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তের মধ্যে গভীর পানিতে তলিয়ে যান তিনি। এ সময় চাচাতো বোনদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর গতকাল সন্ধ্যায় বন্যার মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।
চরপক্ষীমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আকবর আলী গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বন্যার পানিতে ডুবে বন্যা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সদর থানার উপরিদর্শক (এসআই) মো. মঞ্জুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় মৃত বন্যার বাবা জমসেদ আলী বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করেছেন। পরিবারের আবেদনক্রমে লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।