বন্যাকবলিত সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও নেত্রকোনায় ১ হাজার ১৪৬টি মোবাইল টাওয়ার পুনরায় সচল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখনো এসব জেলায় ৯৭৬টি মোবাইল টাওয়ার কাজ করছে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে এসব জেলার ১ হাজার ১৫৯টি মোবাইল টাওয়ার নামে পরিচিত মোবাইল ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আজ সোমবার রাতে জানিয়েছে, উল্লিখিত জেলাগুলোতে মোট ৩ হাজার ৬১৭টি মোবাইল টাওয়ার রয়েছে। এর মধ্যে বন্যার কারণে ২ হাজার ১২২টি মোবাইল টাওয়ার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখনো অসচল ৯৭৬টি টাওয়ার দ্রুত সচলের চেষ্টা চলছে।
বিটিআরসি বলছে, সুনামগঞ্জে ৬২৯টি টাওয়ারের মধ্যে পুনরায় সচল করা হয়েছে ৮৭টি। এখনো কাজ করছে না ৪৭৭টি। সিলেটে ১ হাজার ৩৩৯টি টাওয়ারের মধ্যে এখনো কাজ করছে না ৩৮৬টি। পুনরায় সচল করা হয়েছে ৫১৮টি। নেত্রকোনায় ৫১টি টাওয়ার এখনো কাজ করছে না। এই জেলায় ৫৬০টি টাওয়ারের মধ্যে পুনরায় সচল করা হয়েছে ২৭৬টি। হবিগঞ্জে ৫৭৫টি টাওয়ারের মধ্যে ১১৩টি পুনরায় সচল করা হয়েছে। এখনো কাজ করছে না ২৪টি। এবং মৌলভীবাজারে ৫১৪টি টাওয়ারের মধ্যে এখনো কাজ করছে না ৩৮টি। পুনরায় সচল করা হয়েছে ১৫২টি।
এর আগে গত শনিবার বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, বন্যাদুর্গত এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে বিটিআরসি একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সেলটি কাজ করছে।
বিটিআরসি বলছে, সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর, এনটিটিএন অপারেটর, আইএসপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সচল ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে প্রয়োজনীয় জেনারেটর, অপটিক্যাল ফাইবার ও পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা চলমান আছে।