সেন্ট মার্টিন থেকে ৩০ মাইল পশ্চিমে গভীর সাগরে ডুবে যাওয়া মাছ ধরা ট্রলারের ১৪ মাঝিকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। গত সোমবার ভোরে ‘এফভি শাহ বদর-২’ নামের ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারের ৫ জনকে জীবিত ও ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। তাঁদের মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলার নিখোঁজ ৪ জনের ঘরে চলছে মাতম।
কোস্টগার্ড পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, শুক্রবার ২০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে ‘এফভি শাহ বদর-২’ নামের জাহাজটি কর্ণফুলী থেকে সমুদ্রে যায় মাছ ধরতে। চার দিনের মাথায় সোমবার ভোরে জাহাজটি সেন্ট মার্টিন থেকে ৩০ মাইল পশ্চিমে গভীর সাগরে দুর্ঘটনায় পড়লে জাহাজের ক্যাপ্টেন হেলালসহ ১৪ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ হন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে জীবিত ও ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর এলাকার ইসলামের ছেলে মো. ওয়াসিম।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগরের ভাসর গোষ্ঠীর এজাহার মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মাতমের দৃশ্য। ওই বাড়ির দুই সহোদরসহ তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন আবুল হাশেম মোল্লার ছেলে আবদুল হাই (২৪) ও আবদুল হাকিম (১৯), জাফর আহমদের ছেলে মোহাম্মদ জাবেদ (১৮) ও শিকলবাহা ইউনিয়নের কলেজ বাজার এলাকার আবদুস সালামের ছেলে মো. এনাম (২৫)।
আবদুল হাই ও আবদুল হাকিমের বাবা আবুল হাশেম মোল্লা বলেন, ‘আমার দুই সন্তান নেই, আমার সব শেষ। আমার পরিবারের কী হবে জানি না।’
আরেক নিখোঁজ জাবেদের মা নুর নাহার বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নেই, একমাত্র ছেলেটি হারিয়ে গেল। আমার মেয়েকে নিয়ে এখন কীভাবে চলব।’
ওই সময় পাশে কাঁদছিল নিখোঁজ জাবেদের ছোট বোন শাহিদা আকতার।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শুভাশীষ বলেন, সোমবার সাগরে দুর্ঘটনায় এখনো ১৪ জন নিখোঁজ আছেন। উদ্ধার ৫ জনকে মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।