সারা দেশে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও নির্মাণাধীন ম্যুরালগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দীনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে জেলা ও উপজেলা সদর দপ্তরের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের অগ্রগতি এক মাসের মধ্য জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করার জন্য আগে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলার সদর দপ্তরে জাতির পিতার ম্যুরাল স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি দাখিল করে। এতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ৩৮০টি উপজেলা ও ৬৩টি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স স্থাপন করে কমপ্লেক্সের সামনে জাতির পিতার ম্যুরাল স্থাপন করেছে।
রিটের পক্ষে আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার প্রতীক। কুষ্টিয়ার বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার মতো জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে। অথচ সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ আছে, এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ম্যুরাল ও ভাস্কর্যগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্য পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট ডিসি ও এসপিদের প্রতি নির্দেশনার দেওয়ার আরজি জানান তিনি।
শুনানির পরে আদেশ দেন হাইকোর্ট।