বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে নানা আয়োজন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্কেচ: মাসুক হেলাল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্কেচ: মাসুক হেলাল

নানা আয়োজনে আজ রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপিত হচ্ছে। সরকার, বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য: ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন’।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, গ্রন্থমেলা ইত্যাদি। সারা দেশেই এসব কর্মসূচি উদ্‌যাপিত হবে। তবে ঢাকা ও বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভার সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক। দেশ ও জনগণের কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে জীবনভর সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। তিনি জানতেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে শিশুর প্রতি সহিংস আচরণ এবং সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করা এবং শিশুদের কল্যাণে বর্তমানকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সবাই মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথাও বলেছেন তিনি।

কর্মসূচি

আওয়ামী লীগ আজ ভোর সাড়ে ছয়টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে। সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধু

ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

 সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন। এ ছাড়া সেখানে শিশু সমাবেশ, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন জানাবে। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে ফাতিহা পাঠ করবেন তিনি।

দিবসটি উপলক্ষে জেলা, উপজেলা সদরে আনন্দ শোভাযাত্রা, শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, জেলা, উপজেলা সদরে সপ্তাহব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা নিয়েছে।

বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, কমিউনিটি রেডিও এবং এফএম রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের কর্মসূচি নিয়েছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিশু একাডেমী এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের জেলা তথ্য অফিসগুলো বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।