চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় প্রকাশ্য ছুরিকাঘাতে শহীদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে দর্শনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, মুঠোফোনে গেম খেলা নিয়ে কলেজছাত্র দুই বন্ধুর বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
নিহত শহীদুল ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মসজিদ পাড়ার তাহার আলীর ছেলে। তাঁকে ছুরি মারার অভিযোগ ওঠা তরুণের নাম সুজন আলী (২০)। তিনি দর্শনা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুজন আলী ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি ও প্রতিবেশী আশানুর রহমানের ছেলে জাকির হোসেন দর্শনা সরকারি কলেজে একই শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন। দুজন পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সুজন ও জাকির দুপুরে গ্রামের মসজিদ পাড়ার একটি চায়ের দোকানের পাশে বসে মুঠোফোনে ‘ফ্রি-ফায়ার’ গেম খেলছিলেন। একপর্যায়ে দুজনেই একে অপরের বাবার নাম ধরে কটাক্ষ করেন। বিষয়টি পরে দুজনের মধ্যে হাতাহাতিতে গড়ায়।
খবর পেয়ে জাকিরের চাচা শহীদুল ইসলামসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা জাকির ও সুজন উভয়কে বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেন। কিন্তু সুজন দ্রুত তাঁর বাড়িতে গিয়ে ধারালো ছুরি নিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে আসেন। এসেই ছুরিটি শহীদুল ইসলামের বুকে বসিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ অবস্থা থেকে সুজন দ্রুত পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে দর্শনা থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা শহীদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা সুজন আলী পলাতক। তাঁকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।