বাংলাদেশের ৫০ বছর

ফিরে দেখা ও সম্ভাবনা

আত্মসমর্পণের দলিলে সই করেন পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি। পাশে মিত্রবাহিনীর লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
এঁকেছেন আরাফাত করিম

আমাদের প্রজন্ম যাঁরা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেখেছেন প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর, তাঁদের মনে সেই দিনের স্মৃতি উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পর যে উদ্দীপনা ও প্রত্যাশাবোধ আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল সেই স্মৃতি। আমরা জানতাম, যুদ্ধবিধস্ত সমাজ ও অর্থনীতি পুনর্নির্মাণের কাজ সহজ হবে না। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অঙ্গীকার আমাদের ছিল। সেই সময় বিদেশি অনেক পর্যবেক্ষক জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। এমনকি আমাদের তলাবিহীন ঝুড়ি আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তখন আমরা সবাই ছিলাম বয়সে তরুণ। আমাদের সম্পর্কে করা নেতিবাচক পূর্বাভাসগুলো ভুল প্রমাণিত করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর ছিলাম। নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের ছিল উচ্চাশা।

গত ৫০ বছরে আমাদের পথচলা অতটা মসৃণ ছিল না। আমাদের অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে, অনেক উত্থান-পতন ছিল। অর্থনৈতিক ও মানবিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে আমরা ভালো করেছি। এ নিয়ে আমাদের গর্বিত হওয়ার যৌক্তিক কারণ আছে। ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের চেয়ে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে ছিলাম। এখন সেই পাকিস্তানকে আর্থসামাজিক সব সূচকেই আমরা ছাড়িয়ে গেছি। মানব উন্নয়ন সূচকের কিছু ক্ষেত্রে আমরা ভরতের চেয়েও এগিয়ে আছি। সরকার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সামাজিক উদ্যোগ—এমন বিভিন্ন পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে আমরা আজ এ জায়গায় আসতে পেরেছি। সবচেয়ে বড় কথা, দৈনন্দিন জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজেদের অবস্থান উন্নয়নে আমাদের সাধারণ নাগরিকেরা অসাধারণ লড়াইয়ের সক্ষমতার নজির রেখেছেন। দুর্যোগ মোকাবিলা ও দরিদ্রদের কাছে বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা স্বল্প ব্যয়ে বেশ কিছু উদ্ভাবনী সমাধান বের করতে পেরেছি। এসব উদ্যোগ বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে। অনেক দেশ এসব দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

আজ ৫০ বছর পর এই বিজয় উদ্​যাপন করার সময় মনে রাখতে হবে, আমাদের কৃতিত্ব নিছক গুটিকয়েক ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট যুগের নয়; ধাপে ধাপে আমরা এটা অর্জন করেছি বহুজনের পরিশ্রমের ফলে। সবার অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে হবে। ভবিষ্যতের চলার পথ মসৃণ করতে হলে অতীতের ভুল চিহ্নিত করে শিক্ষা নিতে হবে। আগামী দিনে, বিশেষ করে কোভিড-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় আমরা যেসব নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হব, তা চিহ্নিত করতে হবে। আমরা যেসব বিষয়ে উন্নতি করেছি, তা ধরে রাখতে হলে পুরোনো পন্থায় তা হয়তো সম্ভব হবে না। নতুন পন্থা আবিষ্কার করতে হবে।

আজকের বিজয় উৎসবের সময় আমাদের অর্জন নিয়ে আমরা গর্ব করব। একই সঙ্গে যেসব বিষয়ে আমরা অগ্রসর হতে পারিনি কিংবা ভুল করেছি, তা চিহ্নিত করে কেমন করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব, তা নিয়ে ভাবতে হবে। মনে রাখতে হবে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে আমাদের রাজনৈতিক উন্নয়ন হয়নি। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমরা যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণ করতে চাই, তার জন্য দরকার আইনের শাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা তা ধারণ করতে পারেনি।

আমাদের জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের সময় রাজনৈতিক নেতারা একটি স্লোগান প্রায়ই ব্যবহার করতেন, ‘ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার’। আমাদের জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের আপামর জনসাধারণকে একত্র করতে পেরেছিলেন; কারণ, তিনি এমন এক গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, যেখানে সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষিত হবে এবং তারা শোষণের শিকল থেকে মুক্তি পাবে। আমরা সবাই সেই গণতন্ত্রের স্বপ্নে বিশ্বাস করেছি।

আমরা সবাই জানি, আমাদের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র—এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে স্বাধীনতার এক বছরের মধ্যে আমরা রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়ন করি। কিন্তু খুব শিগগির আমরা এই চার মূলনীতি থেকে বিচ্যুত হই। আমরা কেমন করে এই মূলনীতি থেকে সরে গেলাম, সেটা এখন আমার কাছে বড় প্রশ্ন নয়; তার ইতিহাস আমরা জানি। আমার কাছে বড় প্রশ্ন হলো, গত পাঁচ দশকের এই পথচলায় আমরা কেন সেই মূলনীতিগুলো পুনরুদ্ধার করতে পারলাম না? কেন আমরা এই চার মূলনীতির পেছনে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারছি না?

বিভিন্ন সভা ও টকশোতে বক্তারা প্রায়ই বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে আমরা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দিতে পারছি না কিংবা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারছি না। কথাটি ঠিক, কিন্তু বারবার দুঃখ প্রকাশ করার চেয়ে বরং কী করে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা তৈরি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা দরকার।

গণতন্ত্র ও সুশাসনের অ্যাজেন্ডার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা তৈরিতে তিনটি উপাদান জরুরি। প্রথমত, আমাদের ব্যাপক জনসমর্থন তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো গড় তুলতে হবে। তৃতীয়ত, জনগণের আস্থাভাজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।

জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে যে আমরা রাজনৈতিক সদিচ্ছা তৈরি করতে পেরেছিলাম, তা সম্ভব হয়েছিল এই তিন উপাদানের সমন্বয়ে। এত শক্তিশালী জনসমর্থন আমরা তৈরি করেছিলাম যে সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। তখন শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি ছিল। আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ট্রেড ইউনিয়ন, পেশাদার ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সবাই জাতীয়বাদী আন্দোলন সমর্থন করেছিল। সবচেয়ে বড় কথা, বঙ্গবন্ধুর মতো আমাদের একজন বিশ্বস্ত নেতা ছিলেন, যাঁর ওপর মানুষের বিশ্বাস ছিল। জনসাধারণ বিশ্বাস করত যে তিনি আমাদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ক্ষুদ্র ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে বিকিয়ে দেবেন না।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, গণতন্ত্র ও সুশাসনের মতো অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে এই তিন উপাদান একত্র করার ক্ষেত্রে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে? প্রথমত, জনসমর্থনের দিকে তাকানো যাক। সাধারণ মানুষকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, তারা গণতন্ত্র, আইনের শাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সমর্থন করে কি না। নিশ্চয়ই তারা এসবের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন দেবে। সব জনমত জরিপেই এটা দেখা গেছে। কিন্তু ধরা যাক, উন্নয়নের নামে মানুষ রাস্তাঘাট, সেতু, বিদ্যুৎ পেল, কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা স্বাধীন ও অবাধ নির্বাচন পেল না, তখন তারা কী করবে, তারা কি এই বাস্তবতা মেনে নেবে?

আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যাক, আমরা সবাই আইনের শাসন চাই। কিন্তু গত কয়েক দশকে মানুষ ক্ষমতাবানদের সঙ্গে যোগাযোগ ও ঘুষের বিনিময়ে দ্রুত সেবা পেতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এখন কি আমরা সেবা পাওয়ার জন্য নিয়ম অনুসারে লাইনে দাঁড়াব, নাকি আইন ভঙ্গ করে দ্রুত সেবা পেতে চাইব?

আমি এখনো বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র ও সুশাসনের মতো অ্যাজেন্ডার পেছনে সাধারণ মানুষের সমর্থন পাওয়া বড় সমস্যা হবে না। কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ হলো, গত ৫০ বছরে দেশে ক্ষমতাশালী বড় চক্র গড়ে উঠেছে, যারা রাজনৈতিক ক্ষমতা ও ব্যবস্থার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে। আমরা সবাই স্বজনতোষী পুঁজিবাদ, ঋণখেলাপ, রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত হওয়া এবং নির্বাচনের ক্ষেত্রে অর্থ ও সহিংসতার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের কথা বলি। দেশে যাঁরা নির্বাচনে জেতেন, তাঁরাই সব পেয়ে যান; ফলে নির্বাচনে হারা বা জেতা এখানে অত্যন্ত বড় ব্যাপার হয়ে উঠেছে। আইন ও নিয়ম ভেঙে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছে যারা অপশাসন, অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিহীনতার সুযোগ নিয়ে বিপুল অর্থ ও ক্ষমতার মালিক হয়ে উঠেছেন, তাঁরাই এখন গণতন্ত্র এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রভাবশালীরা ভেতরে ও বাইরে থেকে আমাদের ব্যবস্থায় জাঁকিয়ে বসেছেন। সংস্কার ও পরিবর্তনের যেকোনো প্রচেষ্টায় এঁরা এখন সবচেয়ে বড় বাধা।

মানুষ যে ক্ষমতার এই অপব্যবহার ও অপশাসনের বিরোধিতা করছে না, তা নয়; তবে সমস্যা হলো, এই প্রতিবাদকারীদের সাংগঠনিক শক্তি নেই। তৈরি পোশাকশ্রমিক ও মালিকদের সংগঠনের ক্ষমতার পার্থক্যের দিকে নজর দেওয়া যাক। আমরা দেখতে পাচ্ছি তৈরি পোশাকশ্রমিকেরা প্রায়ই সড়কে বিক্ষোভ করলেও তাঁদের ট্রেড ইউনিয়নগুলো নখদন্তহীন হয়ে পড়ছে। অথচ বিজেএমইএর ভেটো ক্ষমতা আছে। কোভিডের সাধারণ ছুটি ও বিধিনিষেধের সময় আমরা দুই পক্ষের ক্ষমতার এই ব্যবধান স্পষ্টই দেখতে পেয়েছি। আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সাল থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি তাদের ও শ্রমিক-মালিক সংগঠনের মধ্যে কত ক্ষমতার ব্যবধান।

অবশ্য আমরা এ–ও জানি, ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে শোষিত শ্রেণির পক্ষে সংগঠন তৈরি করা যত সহজ ছিল, এখন অতটা সহজ নয়। সরকারি ও অন্য ক্রীড়নকেরা উদীয়মান সংগঠনে অনুপ্রবেশ করে বা নিপীড়ন চালিয়ে সব সম্ভাবনা অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দিতে পারে।

১৯৫০ ও ৬০-এর দশকের তুলনায় বিশ্বস্ত রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি হওয়াও এখন অনেক কঠিন, যা রাজনৈতিক সদিচ্ছা তৈরির তৃতীয় উপাদান। রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে নতুন নেতৃত্বের সম্ভাবনাকে অনেক সহজেই বিনষ্ট করা যেতে পারে।

আমরা জানি শুধু তথাকথিত তৃতীয় বিশ্ব নয়, উন্নত বিশ্বেও এখন গণতন্ত্রের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কথাই বলা যায়, সেখানে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। কী সত্যি, কী মিথ্যা তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। আজকের যুগে সামরিক শাসনের হুমকি ততটা মাথাব্যথার কারণ নয়। বরং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন একনায়কতন্ত্রের উত্থান দেখা যাচ্ছে। মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের স্বাধীনতা বহু দেশে এখন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য কিছু আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে তরুণেরা ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যুক্তরাষ্ট্রে ‘ব্লাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের স্লোগান হচ্ছে, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’। আমাদের দেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে তরুণেরা যে আন্দোলন করছে, সেখানেও এই স্লোগান দেওয়া হয়েছে। আজকের তরুণসমাজ শুধু মানুষের প্রতি ন্যায়বিচারের কথাই বলছে না, তারা সারা ধরিত্রীর প্রতি ন্যায়বিচারও দাবি করছে। তাদের এই স্বপ্ন গণতন্ত্রের ধারণাকে আরও ব্যাপক ও সমৃদ্ধ করেছে। সারা বিশ্বের তরুণেরা যত দিন ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন করবে এবং এই দাবির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে, তত দিন আমি ভবিষ্যতে উন্নততর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সম্ভাবনা দেখি।

৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর: ফিরে দেখা ও সম্ভাবনা’ শিরোনামের সিপিডি-কর্নেল আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিবসে দেওয়া বক্তব্যের ভিত্তিতে রচিত

রওনক জাহান: রাষ্ট্রবিজ্ঞানী