স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এখন থেকে আইন অনুযায়ী ফার্মেসি কাউন্সিলের কোনো পরীক্ষা ছাড়াই সনদ পাবেন ফার্মাসিস্টরা। আজ রোববার সন্ধ্যায় ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়।
গত সাত বছর ধরে পাল্টাপাল্টি রিটের কারণে দেশের বিভিন্ন পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা প্রায় পাঁচ হাজার ফার্মেসি স্নাতক (বি ফার্ম) ডিগ্রিধারীরা সনদ পাচ্ছিলেন না। এতে করে তাঁরা দেশের ভেতর ওষুধ কোম্পানিগুলোতে ভালো বেতনে চাকরি পাচ্ছিলেন না। বিদেশে কাজ পাচ্ছিলেন না। উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশেও যেতে পারছিলেন না।
বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আইনে যেভাবে বলা আছে, সেভাবেই ফার্মাসিস্টরা রেজিস্ট্রেশন পাবেন।
ফার্মেসি কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৬ এর ২৪(১) ধারা লঙ্ঘন করে ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ফার্মেসী কাউন্সিল গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের পরীক্ষা নিচ্ছিল। এর প্রতিবাদে একজন ফার্মাসিস্ট হাইকোর্টে রিট করলে পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আর একটি রিট করা হয় পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে। অথচ বাংলাদেশ ড্রাগ অ্যাক্টসে ফার্মাসিস্টদের রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষা হওয়ার কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু পাল্টাপাল্টি রিটের কারণে পরীক্ষাও হচ্ছিল না। ফার্মাসিস্টরা সনদও পাচ্ছিলেন না।
বি ফার্ম ডিগ্রিধারীরা এ ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট। গত সাত বছর ধরে তাঁরা এ সমস্যার সমাধানে আন্দোলনে করছিলেন।
আলোচনা সভায় স্বাস্ত্রমন্ত্রী ছাড়াও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব আবদুল মুক্তাদির, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূইয়া, প্রমুখ।