ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এক নারী পুলিশসহ সাতজন পুলিশ সদস্য, একজন চিকিৎসক, একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও একজন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। জেলায় কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৬৫১।
নতুন করে করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসাহাক মোল্লা (৫৫)। তিনি ভাঙ্গা উপজেলা সদরের কাফারিয়া সদরদী মহল্লার বাসিন্দা। শনাক্ত হওয়া ৫২ জনের মধ্যে ভাঙ্গায় ২৩, সদরে ১৫, বোয়ালমারীতে ১০ এবং চরভদ্রাসন ও সালথায় ২জন করে রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ৩৩ জন পুরুষ। ৫ থেকে ২০ বছরের বয়সী রয়েছে ৬ জন, ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ১৯ জন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে আছেন ৪ জন।
ফরিদপুরের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মোট ২৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হিসেবে প্রতিবেদন এসেছে ৮৪ জনের। তাঁদের মধ্যে ছয়জন পুরোনোসহ ফরিদপুরেরই ৫৮ জন। এর বাইরে রাজবাড়ীর দুজন এবং গোপালগঞ্জের ২৪ জন।
গত বুধবার পর্যন্ত ফরিদপুরে মোট শনাক্ত ৬৫১ জনের মধ্যে ভাঙ্গায় ১৬৫ জন, সদরে ১৬৪ জন, বোয়ালমারীতে ১০০ জন, চরভদ্রাসনে ৫০, নগরকান্দায় ৪৫ জন, সদরপুরে ৪৪, আলফাডাঙ্গায় ৩৮, সালথায় ২৬ এবং মধুখালীতে ১৯ জন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, ভাঙ্গা, সদর, বোয়ালমারী, সালথা ও চরভদ্রাসনে যে ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তিদের আপাতত বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁদের ফরিদপুরের করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।