প্রার্থীর এজেন্টদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। আজ শনিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোথাও কোথাও প্রার্থীর এজেন্টদের হয়রানির কথা এসেছে, যা কোনোভাবে কাম্য নয়। প্রার্থীর কোনো এজেন্টের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি অভিযোগ না থাকলে কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা যাবে না।
দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
তিনি বলেন, এবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৮৬১ জন প্রার্থী মাঠে আছেন। সব দল সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। প্রচারে সারা দেশে মুখরিত হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক আবহ সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর সমর্থকদের বারবারই আচরণবিধি মনে ধৈর্য-সহনশীল পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সহিংসতা না হয়। তবুও কিছু সহিংসতা হয়েছে, জানমালের ক্ষতি হয়েছে, পরিবেশ ব্যাহত হয়েছে। এগুলো মোটেও কাম্য ছিল না।
সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা বা নাশকতার চেষ্টা করা হলে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের জানান, যদি কারও অবহেলার কারণে নির্বাচনী পরিবেশ ব্যাহত হয় আর অবহেলা প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোনো প্রভাব বা প্রলোভনে প্রলুব্ধ না হয়ে স্বাধীনভাবে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।