কটিয়াদী উপজেলা নির্বাচন

প্রার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রে এখন ইফতার পার্টি

অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নতুন তারিখ ১৮ জুন। নীরবতা কাটিয়ে প্রার্থীরা নড়েচড়ে উঠেছেন। কর্মী-সমর্থকেরাও প্রার্থীর পিছু নিয়েছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রচারণায় নামায় উপজেলাটিতে পুনরায় নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। আর প্রচারণার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ইফতার পার্টি। এ ছাড়া অনেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে গণসংযোগ চালাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাধিক ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়ার কৌশল হিসেবে প্রার্থীরা ইফতারের আগ মুহূর্তে কোনো একটিতে গিয়ে দেখা করে আসছেন। আবার কোনোটিতে ইফতার করছেন। আবার ইফতার শেষে কোনোটিতে গিয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করছেন।

কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ–তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তানিয়া সুলতানা লড়ছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। নতুন তারিখকে স্বাগত জানিয়ে তানিয়া গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘শুরু থেকেই আমি দ্রুত নির্বাচন দাবি করে আসছি। কিছুটা দেরি হলেও তারিখ পেয়েছি। বসে থাকার সময় নেই।

এখন সাধারণভাবে মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ইফতার পার্টিগুলো মিস করছি না।’ তানিয়া জানান, প্রতিদিন তাঁকে একাধিক ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে হচ্ছে। গতকালও তিনি তিনটি ইফতার পার্টিতে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। আজও একই অবস্থা হবে।

এই উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীসংখ্যা ছয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানিয়া সুলতানা। দলটির বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে আছেন উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি লায়ন আলী আকবর (দোয়াত-কলম), উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোশতাক (ঘোড়া) ও সহস্রম দুলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ উদ্দিন (মোটরসাইকেল)। আরও আছেন জাকের পার্টির শহীদুজ্জামান
(গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আনোয়ার আনার (আনারস)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন রেজাউল করিম শিকদার (তালা), মো. বকুল মিঞা (টিউবওয়েল), সদরুল হক (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মজিবুর রহমান (টিয়া পাখি), মো. কামরুজ্জামান (মাইক) এবং মো. আবুল কালাম (উড়োজাহাজ)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলেন সাথী বেগম (কলস), রোকসানা (ফুটবল) এবং মোসা. নওরীন সুলতানা (হাঁস)।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর প্রার্থীরাও নীরব হয়ে যান। প্রার্থীদের সঙ্গে কর্মী-সমর্থকদেরও বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়। রমজান মাস শুরু হওয়ার পর নির্বাচনী পরিবেশে আরও বেশি নীরবতা নেমে আসে। এই অবস্থায় বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২–এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় থাকা আলী আকবর বলেন, ‘রমজান মাস। এখন লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ সবচেয়ে বড় মাধ্যম ইফতার পার্টিগুলো। তাই মিস করছি না।’