সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও প্রশ্ন ফাঁস থামানো যায়নি। রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের পরীক্ষার আগে ইন্টারনেটের গতিও কমানো হয়েছিল, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। যথারীতি আগাম ঘোষণা দিয়ে আইসিটির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে শুরু থেকে সাতটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রই ফাঁস হলো।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষার দিন আড়াই ঘণ্টা করে ইন্টারনেট সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা ইন্টারনেট সেবাসংক্রান্ত সব প্রতিষ্ঠানকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাওয়া অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসি থেকে বলা হয়েছিল, এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো যাবে না।
বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৮ কোটির বেশি। এর মধ্যে সাড়ে ৭ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, বাকি ৫০ লাখ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
এর আগে দেশে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে জঙ্গিদের যোগাযোগের পথ বন্ধ করার কারণ দেখিয়ে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর দেড় ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় বাংলাদেশে। পরে ইন্টারনেট চালু হলেও ২২ দিন বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বেশ কয়েকটি অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ রাখে সরকার।