র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতও কাজ করছে কি না, সে প্রশ্নের জবাব দেননি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রশ্নটি তাঁকে নয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বক্তব্যের পর প্রশ্ন করতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের তো ইফতারের সময় হয়ে গেছে। ঠিক আছে, একটি প্রশ্ন করতে পারবেন।’
এরপর এস জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয় র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারত সহায়তা করছে কি না। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জবাব দেওয়ার আগে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।’ তখন জয়শঙ্কর প্রশ্নকর্তাকে বলেন, ‘এই প্রশ্ন আপনি ড. মোমেনকেই করুন। আমাকে নয়।’
তবে রাতে কূটনৈতিক সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই বৈঠকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি ওঠেনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। তারাও বাংলাদেশের বিষয়ে সদয় ছিল।
‘তাঁরা বলেছেন, ওটা তুলবেন। যুক্তরাষ্ট্রে অনাবাসী ভারতীয়র সংখ্যা ৪৫ লাখ। তাঁরাও বেশ প্রভাবশালী। তাঁরাও এটি (নিষেধাজ্ঞা) মার্কিন সরকারকে অনুরোধ করছেন প্রত্যাহারের জন্য। এটা সম্ভব হয়েছে প্রতিবেশী ভারত বন্ধুরাষ্ট্র বলে। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, সাহায্য চেয়েছি। যাঁরা (অনাবাসী ভারতীয়) উদ্যোগ নিয়েছেন আমার যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়, তাঁদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে,’ বলেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের ডিসেম্বরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।