পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন। ২৫ মে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার পাশে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাও হবে। ভারতের সরকারি সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সম্প্রতি শান্তিনিকেতন সফর করেন। তিনি বাংলাদেশ ভবনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। ওই সময়েই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁরা চান মে মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে জন্য পশ্চিমবঙ্গ সফরে আগ্রহী। সংস্কৃতিমন্ত্রী এ কথাও বলেছিলেন, বাংলাদেশ চায় ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীর আচার্য ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত থাকুন। ২৫ মে সেটাই হতে চলেছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার ২১ থেকে ২৮ মের মধ্যে যেকোনো একটা দিন ঠিক করার প্রস্তাব ভারত সরকারকে দেয়। সরকারি সূত্রের খবর, ভারত ২৫ মে দিনটি পছন্দ করে বাংলাদেশকে জানায়। বাংলাদেশ ওই দিনটি চিহ্নিত করে ভারতকে জানিয়ে দিয়েছে।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মে সকালে কলকাতা পৌঁছে কিছু সময়ের মধ্যেই শান্তিনিকেতনে রওনা হবেন। এই সফরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হবে কি না, সেই জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি এখনো অধরা। বাংলাদেশের কাছে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। এ নিয়ে বাংলাদেশের অভিমান যথেষ্ট।
বাংলাদেশ ভবনে একটি অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বছরভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তা ছাড়া রয়েছে প্রদর্শনী কক্ষ। বড় একটি পাঠাগারও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দুই বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও স্বাধীনতাসংগ্রামের কাহিনিসংক্রান্ত বইপত্র থাকবে। দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করতে এই উদ্যোগ একটা বড় ভূমিকা নেবে বলে দুই দেশের বিশ্বাস।
ভারত ও বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন প্রায় গায়ে গায়ে। চলতি বছর শেষ হওয়ার মুখেই বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন। ভারতের নির্বাচন তার কয়েক মাসের মধ্যেই। দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী যেসব প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি তা ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্তা বিক্রম ডোরাইস্বামীকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।