১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ঘাতকদের নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন আবদুর রহমান শেখ ওরফে রমা ও মো. সেলিম ওরফে আবদুল। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আদালতে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের এই দুই বিশ্বস্ত গৃহকর্মী জবানবন্দি দিয়েছেন। সেই ভয়ংকর অমানিশার মুহূর্ত তাঁদের বয়ানে অবিকল তুলে ধরা হলো।
আমি ১৯৬৯ সালে কাজের লোক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আসি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর পাঁচটায় বঙ্গবন্ধু নিহত হন। তখন আমি বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে থাকতাম। ওই দিন, অর্থাৎ ঘটনার দিন রাত্রে আমি এবং সেলিম দোতলায় বঙ্গবন্ধুর বেডরুমের সামনে বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলাম। আনুমানিক ভোর পাঁচটার দিকে হঠাৎ বেগম মুজিব দরজা খুলে বাইরে আসেন এবং বলেন যে সেরনিয়াবাতের বাসায় দুষ্কৃতকারীরা আক্রমণ করেছে। ওই দিন তিনতলায় শেখ কামাল এবং তাঁর স্ত্রী সুলতানা ঘুমিয়ে ছিল। ওই দিন শেখ জামাল ও তাঁর স্ত্রী রোজী এবং ভাই শেখ নাসের দোতলায় ঘুমিয়ে ছিল। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর স্ত্রী এবং শেখ রাসেল দোতলায় একই রুমে ঘুমিয়ে ছিল। নিচতলায় পিএ মহিতুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মচারী ছিল।
বেগম মুজিবের কথা শুনে আমি তাড়াতাড়ি লেকের পাড়ে যেয়ে দেখি, কিছু আর্মি গুলি করতে করতে আমাদের বাড়ির দিকে আসিতেছে। তখন আমি আবার বাসায় ঢুকি এবং দেখি পিএ/রিসিপশন রুমে বঙ্গবন্ধু তার সঙ্গে কথা বলিতেছে। আমি পিছনের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় এসে দেখি বেগম মুজিব দোতলায় ছোটাছুটি করছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে তিনতলায় যাই এবং আমাদের বাসা আর্মিরা আক্রমণ করেছে বলে কামাল ভাইকে উঠাই। কামাল ভাই তাড়াতাড়ি একটা প্যান্ট ও শার্ট পরে নিচের দিকে যায়। আমি তার স্ত্রী সুলতানাকে নিয়ে দোতলায় আসি। দোতলায় গিয়ে একইভাবে আমাদের বাসা আর্মিরা আক্রমণ করেছে বলে জামাল ভাইকে উঠাই। তিনি তাড়াতাড়ি প্যান্ট, শার্ট পরে তাঁর মার রুমে যান। সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও যান। এই সময়ও খুব গোলাগুলি হচ্ছিল।
একপর্যায়ে কামাল ভাইয়ের আর্তচিৎকার শুনতে পাই। একই সময় বঙ্গবন্ধু দোতলায় আসিয়া রুমে ঢোকেন এবং দরজা বন্ধ করে দেন। প্রচণ্ড গোলাগুলি একসময় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বঙ্গবন্ধু দরজা খুলে আবার বাইরে এলে আর্মিরা তাঁর বেডরুমের সামনে চারপাশে তাঁকে ঘিরে ফেলে। আমি আর্মিদের পিছনে ছিলাম। আর্মিদের লক্ষ্য করে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?’ তারা বঙ্গবন্ধুকে তখন সিঁড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। সিঁড়ির ২/৩ ধাপ নামার পর নিচের দিক হতে অনেক আর্মি বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে। গুলি খেয়ে সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু সিঁড়িতে লুটিয়ে পড়েন।
আমি তখন আর্মিদের পিছনে ছিলাম। তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি কী করো?’ উত্তরে আমি বলি, ‘কাজ করি ।’ তখন তারা আমাকে ভিতরে যেতে বলে। আমি বেগম মুজিবের রুমের বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নিই। সেখানে বেগম মুজিবকে বলি বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেছে। ওই বাথরুমে শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা, শেখ জামাল ও তাঁর স্ত্রী রোজী, শেখ রাসেল, বেগম মুজিব ও বঙ্গবন্ধুর ভাই নাসের এবং আমি আশ্রয় নিই। শেখ নাসের ওই বাথরুমে আসার আগে তাঁর হাতে গুলি লাগে, তাঁর হাত হতে তখন রক্ত ঝরছে। বেগম মুজিব শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে তাঁর রক্ত মুছেন।
এরপর আর্মিরা আবার দোতলায় আসে এবং দরজা পিটাতে থাকলে বেগম মুজিব দরজা খুলিতে যান এবং বলেন, ‘মরলে সবাই একই সাথে মরব।’ এই বলে বেগম মুজিব দরজা খুললে আর্মিরা রুমের ভেতর ঢুকে পড়ে এবং শেখ নাসের, শেখ রাসেল, বেগম মুজিব এবং আমাকে নিচের দিকে নিয়ে আসছিল। তখন সিঁড়িতে বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখে বলেন, ‘আমি যাব না, আমাকে এখানেই মেরে ফেল।’ এই কথার পর আর্মিরা তাঁকে দোতলায় তাঁর রুমের দিকে নিয়ে যায়। একটু পরেই ওই রুমে গুলির শব্দসহ মেয়েদের আর্তচিৎকার শুনতে পাই।
আর্মিরা নাসের, রাসেল ও আমাকে নিচতলায় এনে লাইনে দাঁড় করায়। সেখানে সাদাপোশাকের একজন পুলিশের লাশ দেখি। নিচে নাসেরকে লক্ষ্য করে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি কে?’ তিনি শেখ নাসের বলে পরিচয় দিলে তাঁকে নিচতলায় বাথরুমে নিয়ে যায়। একটু পরেই গুলির শব্দ ও তাঁর মাগো বলে আর্তচিৎকার শুনতে পাই। শেখ রাসেল ‘মার কাছে যাব’ বলে তখন কান্নাকাটি করছিল এবং পিএ মহিতুল ইসলামকে ধরে বলছিল, ‘ভাই, আমাকে মারবে না তো?’ এমন সময় একজন আর্মি তাহাকে বলল, ‘চলো, তোমার মায়ের কাছে নিয়ে যাই ।’ এই বলে তাহাকে দোতলায় নিয়ে যায়। একটু পরেই কয়েকটি গুলির শব্দ ও আর্তচিৎকার শুনতে পাই।
লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় সেলিমের হাতে এবং পেটে দুইটি গুলির জখম দেখলাম। এরপর দেখলাম কালো পোশাক পরিহিত আর্মিরা আমাদের বাসার সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। তখন ডিএসপি নূরুল ইসলাম এবং পিএ/রিসিপশনিস্ট মহিতুল ইসলামকে আহত দেখি। এরপরে আমাদের বাসার সামনে একটা ট্যাংক আসে। ট্যাংক থেকে কয়েকজন আর্মি নেমে ভিতরের আর্মিদের লক্ষ্য করে জিজ্ঞাসা করে ভিতরে কে আছে, উত্তরে ভিতরের আর্মিরা বলে, ‘All are finished’ অনুমান বেলা ১২টার দিকে আমাকে ছেড়ে দিবার পর আমি প্রাণভয়ে আমার গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া চলে যাই।
স্বাক্ষর-
আবদুর রহমান শেখ (রমা)
আমি বর্তমানে বঙ্গভবনে মশালচি হিসেবে চাকরি করছি। ১৯৭২ সাল হতে এই চাকরি করছি। ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডিস্থ ৬৭৭ নং বাড়িতে কাজ শুরু করি। ১৯৭২ সালে চাকরি হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে কাজের লোক হিসেবে কাজ করি। চাকরি হওয়ার পূর্বাপর আমি এবং রহমান (রমা) বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে দোতলায় থাকিতাম। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আড়াইতলা, অর্থাৎ তিনতলায় মাত্র ২টা রুম, সেই জন্য আমরা আড়াইতলা বলে থাকি, দোতলায় ৬টা রুম। নিচতলায় ৭টা রুম। বাড়ির উত্তর দিকে রান্নাঘর, গোয়ালঘর ও গ্যারেজ আছে। বাড়ির চারিদিকে অনুমান ৫ হাত উঁচু ওয়াল আছে। ওয়ালের ওপর তারকাঁটা লাগানো আছে। বাড়ির দক্ষিণ দিকে মাত্র একটা গেট আছে। গেট দিয়ে ভিতরে গেলে সামনে একটা করিডর পড়ে। করিডরের দুই পাশে রুম আছে। বাড়ির মাঝখানে একটা এবং বাড়ির পূর্ব দিক দিয়ে একটা মোট দুইটা সিঁড়ি আছে (আপত্তিসহকারে তা রেকর্ড হলো) মাঝের সিঁড়ি দিয়ে পশ্চিম দিকে এবং পূর্ব দিকের সিঁড়ি দিয়ে পূর্ব দিকে মুখ করে ওপরে উঠিতে হয়।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারে তিনি, তাঁর স্ত্রী, তিন পুত্র, দুই কন্যা এবং দুই পুত্রবধূসহ মোট ৯ সদস্য ছিল। ঘটনার দিন ৭ জনকে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকাল পাঁচটার দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়। ঘটনার রাত্রে আমি এবং রমা দোতলায় বঙ্গবন্ধুর বেডরুমের সামনে ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন বঙ্গবন্ধু খুব জোরে দরজা খুললে আমার এবং রমার ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখি বঙ্গবন্ধু গেঞ্জি গায়ে লুঙ্গি পরা অবস্থায় নিচের দিকে যাচ্ছেন।
ওই রাত্রে তিনতলায় কামাল ভাই ও তাঁর স্ত্রী, দোতলায় জামাল ভাই ও তাঁর স্ত্রী এবং পুত্র রাসেল এক রুমে ছিল। রেহানার রুমে নাসের কাকা ছিল। তখন হাসিনা এবং রেহানা বিদেশে ছিল।
নিচতলায় ডিএসপি নূরুল ইসলাম, পিএ/রিসেপশনিস্ট মহিতুল ইসলাম, টেলিফোন মিস্ত্রি মতিন ও অন্যান্য লোক ছিল।
বঙ্গবন্ধু নিচে যাবার পর বেগম মুজিব আমাকে তাঁর চশমা এবং পাঞ্জাবি দিলে আমি নিচে বঙ্গবন্ধুকে তা দিই। তিনি চশমা-পাঞ্জাবি পরিয়া নেন। আমি বঙ্গবন্ধুর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকি। তখন তিনি বলছিলেন, ‘আমার এবং আমার বোনের বাসা আক্রমণ করেছে, রাজারবাগ ফোন কর।’ এমন সময় বাইর হতে একঝাঁক গুলি ভেতরে আসে। তখন তিনি এবং আমি বসে পড়লাম। তিনি ক্যান্টনমেন্ট, রাজারবাগসহ কোথাও টেলিফোন লাইন না পেয়ে দোতলার দিকে চলে গেলেন। আমি পিছনে পিছনে চলে গেলাম।
সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় কামাল ভাইকে তিনতলা হতে নিচে নামতে দেখি। এদিকে বঙ্গবন্ধু নিজের বেডরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। তারপর দক্ষিণ দিকে গুলির শব্দ শুনি। আমি দৌড়ে জামাল ভাইয়ের রুমে গিয়ে দরজা দিয়ে দেখি, কয়েকজন কালো পোশাক পরিহিত লোক গুলি করতে করতে বাড়ির ভিতরে ঢুকেছে। গুলি লাগিবার ভয়ে আমি জামাল ভাইয়ের বাথরুমে ঢুকে বসে থাকি। তখন জোরে জোরে বলছে ‘যে যেখানে আছ সারেন্ডার করো।’ আমি সিঁড়ির দিকে উঁকি দিয়ে দেখি দুজন কালো পোশাকধারী সিঁড়ি দিয়ে উঠছে। আমি তখন আবার বাথরুমে ঢুকে পড়ি। তারপর কালো পোশাকধারী দুজন লোক আমার কাছাকাছি এলে আমার কিছু সাহস হয়। এই কারণে যে আর্মি দুষ্কৃতকারীদের খবর পেয়ে এসেছে। এই মনে করে আমি উঠতে গেলে তারা আমাকে গুলি করে। গুলি আমার হাতে-পেটে লাগে (এই পর্যায়ে সাক্ষী তার হাতের ও পেটের জখম দেখায়), তখন আমি সামনের দিকে পড়ে যাই।
পরে আমি সিঁড়ির পাশে হেলান দিয়ে বসে থাকি। বসে থাকা অবস্থায় দেখি যে, ৪-৫ জন আর্মির লোক বঙ্গবন্ধুকে তাঁর রুম থেকে ধরে সিঁড়ির দিকে আনছে। বঙ্গবন্ধু আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে বলল, ‘এই ছেলেটা ছোটবেলা হতে আমাদের এখানে থাকে। একে কে গুলি করল?’ এরপর তিনি বলিলেন, ‘তোরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি? কী করছি—বেয়াদপি করছ কেন?’ এর কিছুক্ষণ পরে সিঁড়ির দিকে গুলির শব্দ ও চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। একটু পরে দেখি আম্মাকে (বেগম মুজিব), রাসেলকে, নাসের কাকাকে ও রমাকে আর্মিরা নিচের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সিঁড়ির কাছে গিয়েই আম্মা চিৎকার করে উঠে, ‘আমি ওই দিকে যাব না, আমাকে এখানেই মেরে ফেল।’ তারপর নাসের, রাসেল ও রমাকে নিচের দিকে এবং আম্মাকে (বেগম মুজিব) বেডরুমের দিকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই বেডরুম থেকে গুলির শব্দ এবং চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই।
কিছুক্ষণ পর গুলি বন্ধ হয়ে গেল। আমি বসে থাকা অবস্থায় একজন আর্মি এসে আমাকে বলল, ‘তোমার গুলি লাগছে?’ আমি বলি, ‘হ্যাঁ, লাগছে।’ তারপর আর্মিদের বিভিন্ন রুম খোঁজাখুঁজি করতে দেখি। একটু পরেই আর্মির লোক আমাকে বলল, ‘তুমি হেঁটে নিচে যেতে পারবা?’ আমি বললাম, ‘পারব।’ তখন আমাকে হাত ধরে টেনে উঠিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামাতেই দেখি সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে আছে। ওই লাশের ওপর দিয়ে আমাকে নিচে নিয়ে যায়। নিচে বারান্দা দিয়ে গেটের দিকে নিবার সময় কামাল ভাইয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখি। তারপর আমাকে গেটের ভিতরে লাইনে নিয়ে বসায়। সেখানেও একজন সিকিউরিটির লোকের লাশ পড়ে থাকতে দেখি।
লাইনে ডিএসপি নূরুল ইসলাম, মহিতুল ইসলাম, রমা, রাসেল ভাইকে দেখলাম। রাসেল মহিতুল ইসলামের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর আমাকে লক্ষ্য করে একজন আর্মির লোক অন্য একজন আর্মিকে বলল, ‘এর গায়ে গুলি লেগেছে। একে হাসপাতালে নিয়ে যাও।’ একটু পরেই একটা ট্যাংক এবং একটা জিপ এল। ট্যাংক হতে কয়েকজন অফিসার নেমে অন্য আর্মিদের সঙ্গে ইংরেজি ও বাংলায় কী যেন কথাবার্তা বলল। তখন রাসেলকে দোতলায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই দোতলা হতে গুলির শব্দ ও চিৎকার শুনলাম। তারপর ট্যাংকের পিছনে আসা জিপে করে আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে যাবার পর শেখ সেলিম ও শেখ মারুফের সঙ্গে আমার দেখা হয়। তাঁরা আমাকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির খবর জিজ্ঞাসা করলে আমি জানাই যে সবাইকে মেরে ফেলেছে।
আমি পড়ালেখা জানি না। তদন্তকারী অফিসারের কাছে আমি জবানবন্দি দিয়েছি।
স্বাক্ষর-
মো. সেলিম (আবদুল)