প্রচারে কাদের, আসাদুল

মহাজোটের প্রার্থী জাপার কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের গত রোববার লালমনিরহাট শহরের প্রধান বাজার গোশালা বাজারে গণসংযোগ করেন। ছবি: প্রথম আলো
মহাজোটের প্রার্থী জাপার কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের গত রোববার লালমনিরহাট শহরের প্রধান বাজার গোশালা বাজারে গণসংযোগ করেন।  ছবি: প্রথম আলো

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণায় মুখর লালমনিরহাট–৩ আসনের বিভিন্ন এলাকা। এ আসন থেকে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সব শ্রেণি–পেশার মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন। তাঁদের মধ্যে শক্তিশালী প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল হাবিব দুলু যেমন আছেন, তেমনি আছেন বাসদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীও আছেন।
মহাজোট, ঐক্যফ্রন্ট, বাসদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা গত রোববার মহান বিজয় দিবসেও পথসভা, জনসভা ও মতবিনিময় করেছেন। মহাজোটের প্রার্থী জাপার কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিবের কর্মী–সমর্থকেরা ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মাইকে গান বাজিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এ ছাড়া সব প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছবি আর ছোট ছোট ভিডিও আপলোড করে প্রচার চালানো হয়েছে।

মহাজোটের প্রার্থী জি এম কাদের গত রোববার বেলা ১১টায় জেলা শহরের প্রধান বাজার গোশালা বাজার ও পৌরসভার মার্কেটে গণসংযোগ করেন। একই দিন বিকেল চারটায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের হাঁড়িভাঙ্গা বাজার এলাকায় পথসভা করেন তিনি। সন্ধ্যায় তিনি একই ইউনিয়নের বুড়িরহাট বাজার ফুটবল খেলার মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সফুরা বেগম রুমী।

গত রোববার দুপুরে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আসাদুল হাবিব লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চর খুনিয়াগাছ, খুনিয়াগাছ তালপট্টি, রাজপুর ইউনিয়নের চর চিনাতুলী, মধ্যচর, পাগলারহাটে গণসংযোগ ও পথসভা করেন। সন্ধ্যায় খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের মিলন বাজার উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা এ কে এম মমিনুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা মহিলা দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আঞ্জুমান আরা শাপলা প্রমুখ।
গত রোববার লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের খেদাবাগ, সেলিমনগর, আইরখামার, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা বাজার, হারাটি ইউনিয়নের ওকড়াবাড়ি বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন বাসদের প্রার্থী আবু তৈয়ব মো. আজমুল হক।

একই দিন লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজার, শিবেরকুটি, চর খাটামারী ও টিকটিকির হাটে গণসংযোগ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোকছেদুল ইসলাম।
মহাজোটের প্রার্থী জি এম কাদের বলেন, ‘জনগণ আমাকে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের মতো ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন, এ বিশ্বাস আমার আছে। আমি নির্বাচিত হলে লালমনিরহাট পরিত্যক্ত বিমানবন্দর চালু করার উদ্যোগ নেব, লালমনিরহাট-বুড়িমারী পর্যন্ত ফোরলেন মহাসড়ক নির্মাণ করব। এ ছাড়া মোগলহাট শুল্ক ও স্থলবন্দর চালু এবং লালমনিরহাট রেলওয়েতে ব্রডগেজ রেললাইন স্থাপনের ঘোষণা বাস্তবায়ন করা হবে।’
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আসাদুল হাবিব বলেন, ‘জনগণ আমাকে ২০০১ সালের নির্বাচনের মতো আবারও ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নসহ আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সংসদে এবং সংসদের বাইরে কার্যকর পদক্ষেপ নেব।’