জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের ছয় ও বিএনপির একজন নেতা প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। সভা-সমাবেশ, গণসংযোগসহ নানা কৌশলে তাঁরা এলাকায় এই প্রচারণা চালাচ্ছেন।
দলীয় নেতা ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগের যাঁরা মাঠে নেমেছেন তারা হলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পানিসম্পদবিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মুরাদ হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঢাকার তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন, সহসভাপতি লুৎফর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম। আর বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল কবির তালুকদার।
মাহবুবুর রহমানের বাবা আবদুল মালেক মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে মিলিয়ে ৪০ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে ছিলেন। গত ২১ জুলাই মাহবুবুর রহমান উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পশ্চিম বয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে সবার দোয়া চান। এরপর তিনি স্থানীয় বাজারে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি তাঁর প্রয়াত বাবার দীর্ঘদিনের রাজনীতির কথা তুলে ধরেন এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চান।
মুরাদ হাসান বিভিন্ন সময়ে এলাকাবাসীকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এর ফাঁকে ফাঁকে তিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতে সাধারণ মানুষের মধে৵ গণসংযোগ চালাচ্ছেন। মুরাদ হাসানের বাবা মতিয়র রহমান ২৪ বছর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। গত এপ্রিল থেকে তিনি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার এই দুই দিন এলাকায় থেকে গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন।
আবদুর রশিদ ৬ মে থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতে সভা ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। তিনি ১৫ জুলাই মহাদান ইউনিয়নের সানাকৈর, ফয়েজের মোড়, বাউসী বাজার, শিমলা বাজার, ট্রাক সমিতি ও পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া বাজারে পথসভা করেন। এ ছাড়া ছানোয়ার হোসেন, লুৎফর রহমান ও খোরশেদ আলম আগাম প্রচারণায় এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চাচা বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আবদুস সালাম তালুকদারেরসময়ে সরিষাবাড়ীর সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে গণসংযোগ চালাচ্ছেন ফরিদুল কবির তালুকদার।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমার সময়ে সরিষাবাড়ীতে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। আগামী নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে এলাকাবাসীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
আবদুর রশিদ বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে এলাকায় নৌকার প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ চালাচ্ছি।’
ফরিদুল কবির তালুকদার বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আমি বিজয়ী হব।’
ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘জননেত্রী এ আসনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে দিলে আর দলীয় কোন্দল থাকবে না।’