পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-২ শাখা থেকে পৌরসভাভিত্তিক বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ও পৌর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল।
বর্তমানে দেশের ৩২৮টি পৌরসভার রাজস্ব আদায় সন্তোষজনক না হওয়ায় অধিকাংশ পৌরসভাতেই বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে পৌরসভার নিয়মিত রাজস্ব আদায় প্রায় বন্ধ। প্রায় দুই মাস ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, হাটবাজারের ইজারা, দোকান ভাড়াসহ যাবতীয় রাজস্ব আয় বন্ধ রয়েছে।
গত ৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ম্যাব) সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় পৌরসভার কার্যক্রম এবং পৌর কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সমস্যা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য অর্থ বরাদ্দের নির্দেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌরসভাভিত্তিক বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করেছে। দেখা যায়, ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা ১০ থেকে ৮ লাখ, ‘খ’ শ্রেণির পৌরসভা ৬ লাখ ৭৪ হাজার এবং ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা ৫ লাখ ১ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পৌর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মোট বরাদ্দের পরিমাণ ৪৫ কোটি। তা ছাড়া স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ম্যাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভার বর্তমান অবস্থা ও বেতন–ভাতার সমস্যা নিয়ে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।
অর্থ বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ম্যাবের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক ও শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল। তাঁরা স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী, সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।